চলুন ঘুরে আসি শতাব্দী প্রাচীন হুগলীর মহানাদ ব্রহ্মময়ী কালী বাড়ি থেকে।
জমিদার কৃষ্ণচন্দ্র নিয়োগীর কাঠ ও চিনির বড় ব্যবসা ছিল। তাই তার বাড়িতে জাঁকজমক করে দুর্গা, লক্ষ্মী ও জগদ্ধাত্রী পুজো হত। কিন্তু পুজো শেষ হতেই বিগ্রহের বিসর্জন হয়ে যেত। ফলে মায়ের নিত্য প্রতিমা দর্শনের কোনও উপায় ছিল না। সেই ভাবনা থেকেই জমিদার কৃষ্ণচন্দ্র দক্ষিণা কালী মায়ের মন্দির প্রতিষ্ঠা করার সিদ্ধান্ত নেন। সেই মতো জঙ্গলে ঘেরা মহানাদ দক্ষিণ পাড়ার দু'বিঘে জমি, লোক লষ্কর খাটিয়ে পরিষ্কার করেন তিনি। ১৮২২ সালে শুরু হয় মন্দির নির্মাণের কাজ। টানা আট বছর ধরে চলে মন্দির তৈরির কাজ। মন্দিরের উচ্চতা ৮৪ ফুট। মন্দিরের কাজ শেষ হয়ে যাওয়ার পর, ১৮৩০ সালের মাঘ মাসে রটন্তি কালী পুজোর সময়ে এই মন্দিরে দক্ষিণা কালী মায়ের মূর্তি প্রতিষ্ঠিত হয়।
বর্তমানে মন্দিরের প্রধান পুরোহিত শৈলেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়। প্রতি বছর মাঘ মাসের রটন্ত কালি পূজা উৎসব ছাড়াও এই মন্দিরে সারা বছরই মায়ের পুজো হয়। শনি-মঙ্গলবার ও বিশেষ তিথিতে মায়ের বিশেষ পুজো হয়। প্রথা মেনে প্রতি অমাবস্যাতে এখনও ছাগ বলি হয়। মন্দিরের ৬৪ ফুট উপরে এবং মায়ের বিগ্রহের চারিপাশে শিবলিঙ্গ রয়েছে। সর্ব প্রথম শিবলিঙ্গের পুজো করা হয়, তার পরেই মায়ের পুজো শুরু হয়। মা এখানে খুব জাগ্রত! তাই হাওড়া হুগলি, বর্ধমান ও দুই ২৪ পরগনা থেকে এখনও কাতারে কাতারে মানুষ এখানে আসে মায়ের দর্শন করতে।










ليست هناك تعليقات:
إرسال تعليق