চলুন ঘুরে আসি শতাব্দী প্রাচীন হুগলীর মহানাদ ব্রহ্মময়ী কালী বাড়ি থেকে। - DHAR ARTS

Breaking

dhar arts


 


 


السبت، 13 فبراير 2021

চলুন ঘুরে আসি শতাব্দী প্রাচীন হুগলীর মহানাদ ব্রহ্মময়ী কালী বাড়ি থেকে।

চলুন ঘুরে আসি শতাব্দী প্রাচীন হুগলীর মহানাদ ব্রহ্মময়ী কালী বাড়ি থেকে। 



ব্যান্ডেল, মগরা ও পান্ডুয়া স্টেশন থেকে ট্রেকার অথবা বাসে করে মিনিট চল্লিশ / পঞ্চাশ গেলেই, মহানাদ দক্ষিণ পাড়া। সেখানেই রয়েছে ১৯০ বছরের প্রাচীন পোলবা মহানাদ ব্রহ্মময়ী কালী বাড়ি। কথিত আছে, এখানকার স্থানীয় জমিদার কৃষ্ণচন্দ্র নিয়োগী ১৮৩০ সালে মহানাদে মা ব্রহ্মময়ী কালী মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন। পারিবারিক পরিচয়ের সূত্রে মন্দির প্রতিষ্ঠার কয়েক বছর পরে এই জমিদার বাড়িতে আসেন রানি রাসমণি। মন্দিরের গঠনশৈলী ও দক্ষিণা কালীর মূর্তি দেখে তিনি মুগ্ধ হন। তার কিছুদিন পরে রাসমণি তাঁর লোকজন দের এনে মন্দিরের উচ্চতা, প্রতিমার খুঁটিনাটি সমস্ত তথ্য লিখে নিয়ে যান। শেষে মহানাদ ব্রহ্মময়ী কালী বাড়ির আদলেই দক্ষিণেশ্বরের মা ভবতারিণীর মন্দির তৈরিতে উদ্যোগী হন রানি রাসমণি। মহানাদ কালী বাড়ির বর্তমান বংশধর হলেন স্বপন নিয়োগী। তার বক্তব্য অনুযায়ী, 'রানি রাসমণি মহানাদ কালী বাড়িতে এসেছিলেন, সবটাই তাদের পূর্ব পুরুষদের মুখে শোনা কথা। কিন্তু তার কোনও সঠিক তথ্য বা প্রমাণ কারোর কাছেই নেই।'

জমিদার কৃষ্ণচন্দ্র নিয়োগীর কাঠ ও চিনির বড় ব্যবসা ছিল। তাই তার বাড়িতে জাঁকজমক করে দুর্গা, লক্ষ্মী ও জগদ্ধাত্রী পুজো হত। কিন্তু পুজো শেষ হতেই বিগ্রহের বিসর্জন হয়ে যেত। ফলে মায়ের নিত্য প্রতিমা দর্শনের কোনও উপায় ছিল না। সেই ভাবনা থেকেই জমিদার কৃষ্ণচন্দ্র দক্ষিণা কালী মায়ের মন্দির প্রতিষ্ঠা করার সিদ্ধান্ত নেন। সেই মতো জঙ্গলে ঘেরা মহানাদ দক্ষিণ পাড়ার দু'বিঘে জমি, লোক লষ্কর খাটিয়ে পরিষ্কার করেন তিনি। ১৮২২ সালে শুরু হয় মন্দির নির্মাণের কাজ। টানা আট বছর ধরে চলে মন্দির তৈরির কাজ।  মন্দিরের উচ্চতা ৮৪ ফুট। মন্দিরের কাজ শেষ হয়ে যাওয়ার পর, ১৮৩০ সালের মাঘ মাসে রটন্তি কালী পুজোর সময়ে এই মন্দিরে দক্ষিণা কালী মায়ের মূর্তি প্রতিষ্ঠিত হয়। 


 




তারপর থেকে একই ভাবে মায়ের পুজো হয়ে আসছে। প্রতিবছর মাঘ মাসের রটন্ত কালি পূজার সময় মন্দির চত্ত্বর ও সংলগ্ন এলাকায় বিশাল মেলা বসে। ও পরের দিন মন্দির সংলগ্ন মাঠে বসিয়ে খিচুড়ি ভোগ খাওয়ানোর ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু এই বছর (2021) করোনা মহামারীর কারনে সব বন্ধ।

বর্তমানে মন্দিরের প্রধান পুরোহিত শৈলেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়। প্রতি বছর মাঘ মাসের রটন্ত কালি পূজা উৎসব ছাড়াও এই মন্দিরে সারা বছরই মায়ের পুজো হয়। শনি-মঙ্গলবার ও বিশেষ তিথিতে মায়ের বিশেষ পুজো হয়। প্রথা মেনে প্রতি অমাবস্যাতে এখনও ছাগ বলি হয়। মন্দিরের ৬৪ ফুট উপরে এবং মায়ের বিগ্রহের চারিপাশে শিবলিঙ্গ রয়েছে। সর্ব প্রথম শিবলিঙ্গের পুজো করা হয়, তার পরেই মায়ের পুজো শুরু হয়। মা এখানে খুব জাগ্রত! তাই হাওড়া হুগলি, বর্ধমান ও দুই ২৪ পরগনা থেকে এখনও কাতারে কাতারে মানুষ এখানে আসে মায়ের দর্শন করতে।



ليست هناك تعليقات:

إرسال تعليق