মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য প্রশাসনের তরফে অনুমতি মিলল না এবারের ত্রিবেণী কুম্ভ মেলার।
নিত্যানন্দ ধর, হুগলি ত্রিবেণী কুম্ভ মেলা ২০২৪: এবছর মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য হুগলির ত্রিবেণীতে কুম্ভমেলার জন্য অনুমতি মিলল না প্রশাসনের তরফে। যার কারণে বিজেপি শিবিরের অন্দরে ইতিমধ্যেই তৈরি হয়েছে ক্ষোভ। উল্লেখ্য যে দীর্ঘ ৭০৩ বছর পর গত ২০২২শে হুগলির ত্রিবেণীতে শুরু হয় কুম্ভ মেলা। চলতি বছরে ১১ থেকে ১৩ই ফেব্রুয়ারি মেলার দিন ধার্য করা হয়েছিল কুম্ভমেলা পরিচালন সমিতির পক্ষ থেকে। ১৩ই ফেব্রুয়ারি কুম্ভ মেলার শাহি স্নান। কিন্তু উক্ত সময়ে এবছরের মাধ্যমিক পরীক্ষা থাকায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মেলার অনুমতি মেলেনি।
শিবপুর স্পোর্টিং ক্লাব মেলা প্রাঙ্গণসদর মহকুমা শাসক স্মিতা সান্যাল শুক্লা, মেলা কমিটি, শিবপুর ক্লাব, বাঁশবেড়িয়া পুরসভা, দমকল, স্বাস্থ্য, ও পুলিশের সকল প্রতিনিধিদের সঙ্গে নিয়ে বৈঠক করেন। সেখানে মেলা পরিচালন সমিতিকে সরাসরি জানিয়ে দেওয়া হয় যে আপাতত মেলার অনুমতি দেওয়া যাবে না। যে মাঠে ত্রিবেণীর কুম্ভমেলা অনুষ্ঠিত হয়, সেই শিবপুর স্পোর্টিং ক্লাবের সম্পাদক ইন্দ্রজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “গত দুবছর এক প্রকার জোর করেই এই মেলা আমাদের উপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কোনও অনুমতি দেওয়া হয়নি ক্লাবের পক্ষ থেকে। আমরা এই মাঠে শুধু খেলোয়াড় তৈরি করতে চাই। এখানে মিলন মেলা হয় শুধু মাত্র অনুদানের জন্য। আমরা মহকুমা শাসককে বলেছি মেলার ব্যবস্থা অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যেতে।”
বাঁশবেড়িয়া পুরসভার ভাইস চেয়ারপার্সন শিল্পী চট্টোপাধ্যায় বলেন, “মাধ্যমিকের সময়ে কুম্ভমেলা হওয়ার কথা ছিল। মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের কথা মাথায় রেখে এবছর কুম্ভমেলা স্থগিত করা হল। সকলের উপস্থিতিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।” প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করে ইতিমধ্যেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, এবছর মেলা হচ্ছে না । তবে প্রশাসনের তরফে সকল কে অবগত করা সত্ত্বেও গত রবিবার সকালে দেখা যায় মেলার ব্যানার টাঙানো হচ্ছে শিবপুর মাঠের সামনে।
ত্রিবেণীর অপর প্রান্ত কল্যানীতে দৃশ্যমান কুম্ভ মেলা
দীর্ঘ ৭০৩ বছর পর দুবছর আগে ২০২২ শে মাঘ মাসের সংক্রান্তি তে ত্রিবেণীতে শুরু হয় কুম্ভমেলা। মেলার উদ্যোক্তারা অবশ্য একে ‘মিনি কুম্ভমেলা’ বলে অভিহিত করেন। তবে যাই হোক মেলার বন্ধের সিদ্ধান্তে স্বাভাবিকভাবেই হতাশ এলাকার ছোট বড় ব্যবসায়ী ও পুণ্যার্থীরা।সমালোচকদের মতে মেলাতে প্রশাসনের অনুমতি না মেলার অন্যতম প্রধান কারণ রাজনৈতিক বৈরীতা।












ليست هناك تعليقات:
إرسال تعليق