তারাপীঠ বা নলহাটী গেলে অবশ্যই দর্শন করে আসুন মহারাজ নন্দকুমারের স্মৃতি বিজড়িত আকালী পুরের গুহ্য কালী!


বাঙালি হয়ে তারাপীঠ যাননি, এমন  মানুষ বোধহয় খুঁজে পাওয়া দুস্কর! তারাপীঠ গিয়ে অনেকেই ছোট খাটো ট্যুর করে, নলহাটি থেকে ঘুরে আসেন। কিন্তু এটা জানেন কি, নলহাটির নলাটেশ্বরী মায়ের মন্দির থেকে মাত্র ১৬ কিলোমিটার দূরত্বে গেলেই মায়ের আরো একটি ধাম! যার পৌরাণিক ও ঐতিহাসিক দুই গুরুত্ব রয়েছে। আকালী পুরের গুহ্য কালী। হ্যাঁ ঠিকই পড়েছেন, জায়গার নাম আকালীপুর।  আজ আমি আমার এই প্রতিবেদনে আপনাদের সামনে গল্প কথার মতো করে সেই সম্পুর্ন ঐতিহাসিক কাহিনী বর্ণনা করবো। তবে আশা রাখি এই পুরো প্রতিবেদনটি পড়ার পরে, আপনার একবার হলেও মনে হবেই, কখনও না কখনও একবার হলেও এই স্থানটি থেকে ঘুরে আসবো। তাহলে চলুন শুরু করা যাক। পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলার, রামপুরহাট মহকুমার অন্তর্গত, ভদ্রপুর গ্রামের পশ্চিমে অবস্থিত আকালীপুর গ্রাম । এখানেই ব্রাহ্মণী নদীর তীরে মহারাজ নন্দ কুমার দ্বারা প্রতিষ্ঠিত মা বিরাজ করছেন দেবী গুহ্য কালী রূপে। জায়গার নাম অনুসারে কালান্তরে মায়ের নাম হয়েছে আকালী। মা এখানে অপ্রকাশ্য , অপ্রকাশ্য অর্থাৎ যা প্রকাশ পায় না, যা অপ্রকাশ্য তাহাই গুহ্য। গুহ্য কথার অর্থ একান্তই গোপনে। দেবী এখানে গুহ্য কালী রূপে বিরাজ মান।

                                 মায়ের বিগ্রহ

এই দেবীর আরাধনা করতে পারে একমাত্র তন্ত্র সাধকেরাই। গৃহস্থের নিকট এই রূপ "অপ্রকাশ্য" ।  এর থেকেই মনে হতে পারে যে, মহারাজা নন্দ কুমার হয়তো নিয়মিত তন্ত্র সাধনা করতেন। কিন্তু না, তা একেবারেই সত্য নয়!  তিনি রাধামোহন ঠাকুরের নিকট বৈষ্ণবধর্মে দীক্ষিত হয়েছিলেন।

গুহ্যকালী বা আকালী হিন্দু দেবী কালীর একটি বিশেষ রূপ। দেবীভাগবত পুরাণ মতে, তিনি দেবী শতাক্ষীর শরীর থেকে উৎপন্না অন্যতমা মহাশক্তি। গুহ্যকালী, দেবী কালীকার এক অতি ভয়ংকরী রূপ। এই রূপ কালীর প্রচলিত রূপের চেয়ে অনেকটাই পৃথক। 


সাধারণত আমরা কালী মূর্তি বলতে জানি মহাকাল শিবের বুকে চরণ রেখে নরমুন্ড মালা পরিহিতা, খড়্গ হস্তে, চতু্র্ভূজা রূপে দন্ডায়মান মাতৃমূর্তি। কিন্তু এখানের মুর্তিটি একেবারেই আলাদা ও অনন্যা। সম্ভবত মা কালীর এমন রূপ ভারত বর্ষের আর কোথাও দেখা যায় না। 



এখানে দেবীকে দেখা যায় মন্দিরের গর্ভগৃহের পঞ্চমুন্ডির আসনের উপর সর্প বেষ্টিত বেদীতে, দেবী পা মুড়িয়ে পদ্মা আসনে যোগমুদ্রায় বসে আছেন। মূলতঃ এই সর্প এখানে মূলাধার ও কুলকুন্ডলিনীর প্রতীক। মা এখানে দ্বিভুজা, এবং বস্ত্র পরিহিতা। মা এখানে বিনাশকারীনি নন, তাই তার হাতে খড়্গ নেই। ডান হাতে বরমুদ্রা ও বাম হাতে অভয় মুদ্রা দানকারীনি মা, সকল জীবজগতকে লালন পালন করছেন। মুখ মন্ডল তার সদা হাস‍্যপূর্ণ, লোলজিহ্বা, ভয়ঙ্কর প্রসারিত দন্ত। গাত্রবর্ণ গাঢ় মেঘের ন‍্যায় কৃষ্ণবর্ণা। গলায় তার নাগহার ও পঞ্চাশটি নরমুন্ডের মালা রূপে পঞ্চাশটি বর্ণমালা। স্কন্ধে নাগ যজ্ঞোপবীত, মস্তকে জটা, অর্ধচন্দ্র।  কোমরে নাগকোটিবন্ধ। কর্ণযূগল থেকে  দুটি নরদেহ ( শব কুন্ডল ) নেমে এসেছে কাঁধ অবধি। বামকঙ্কনে সর্পরাজ তক্ষক  এবং দক্ষিনে নাগরাজ অনন্ত ,বামে বৎসরূপী শিব। মাথায় সহস্র নাগফনার মুকুট। তবে মায়ের এই রূপটি শুধু তখনই দেখা যায়, যখন সকাল ১০:৩০ এর সময় মাকে স্নান করানো হয়, একমাত্র তখনই সম্পূর্ণ মূর্তিটি দেখা যায়। মাকে সূর্যকালী নামেও অভিহিত করা হয়।   কষ্টি পাথরের তৈরি এই অপরূপ দেবী মূর্তিটি আজকের নয়, এই মূর্তির এক পৌরাণিক ইতিহাস রয়েছে, যার শুরু মগধরাজ জরাসন্ধের সময় কাল থেকে। পুরাতাত্ত্বিক বিচারে এর বয়স আনুমানিক ৫,০০০ বছরের বেশী। অর্থাৎ মহাভারতের যুগে!  শোনা যায় মগধ রাজ জরাসন্ধ গুপ্ত ভাবে পাতালে এই দেবীর আরাধনা করতেন। এবং মহাভারত থেকেই জানা যায়  তিনি তার সাধন ক্রিয়ায় সিদ্ধি লাভের উদ্দেশ্যে নিয়মিত নরবলি দিতেন। সেই জন্য মগধ রাজ জরাসন্ধ বহু দেশের ক্ষত্রিয় রাজাদের বন্দি করে রেখেছিল।  ভগবান শ্রীকৃষ্ণের কুটিল চালে মগধরাজ জরাসন্ধের অকাল মৃত্যু হয়। কালের নিয়মে সেই মন্দির গুপ্ত ভাবেই কোথায় যেন হারিয়ে যায়, কিন্তু থেকে যায় বিগ্রহটি।
            ইন্দোরের মহারানী অহল্যা বাঈ হোলকার।

আনুমানিক প্রায় ২৪৯ বছর আগে ইন্দোরের মহারানী অহল্যা বাঈ হোলকার স্বপ্নে পাওয়া একটি শিবলিঙ্গের অন্বেষণ করতে গিয়ে,  স্বপ্নে নির্দেশিত মগধের ( সেদিনের মগধ আজকের বুদ্ধ গয়া ) বিশেষ স্থানে খনন কার্য্যের ফলে তার স্বপ্নে দেখা শিব লিঙ্গের সাথে এই কালী মায়ের মূর্তিটি খুঁজে পান। সে সময় ঐ অঞ্চলে কাশীর রাজা চৈত সিংহের অধীনস্থ ছিল। ফলে  রানী অহল্যা বাঈ মায়ের এই মূর্তিটি কাশীরাজ চৈত সিংহ কে প্রদান করেন। কাশীরাজ সেই অমূল্য বিগ্রহ টি তার গৃহের অস্থায়ী মন্দিরে প্রতিষ্ঠা করে পূজার্চনা করতে শুরু করেন ৷ তদানীন্তন ভারতের প্রথম ইংরেজ গভর্ণর জেনারেল লড ওয়ারেন হেস্টিংস তখন কাশীতে নিযুক্ত ৷

                          ওয়ারেন হেস্টিংস

এমন সময়ে বহরমপুর নিবাসী, বৃটিশদের অনুচর , কান্ত পোদ্দার ওয়ারেন হেস্টিংস কে এই মাতৃ মূর্তিটির কথা জানান দেয়। লড ওয়ারেন হেস্টিংস কাশীরাজের নব্য প্রতিষ্ঠিত বহুমূল্য বৃহৎ কষ্টিপাথরের অপূর্ব কারুকার্য্য সম্পন্না মায়ের মূর্তিটির প্রতি আকৃষ্ট হয়ে সেটিকে ইংল্যান্ডের মিউজিয়ামে রাখার পরিকল্পনা করতে থাকেন ৷ কাশীরাজ চৈত সিং হেস্টিংসের এই পরিকল্পনার কথা জানতে পেরে, প্রবল অনিচ্ছা সত্ত্বেও মূর্তিরক্ষার্থে গঙ্গাগর্ভে অনির্দিষ্টকালের জন্য একটি বিশেষ নির্দিষ্টস্থানে মূর্তিটি লুকিয়ে রাখেন ৷ এরপর চারিদিকে রটিয়ে দেন যে, মূর্তি টি চুরি গিয়েছে!

আর এদিকে মায়ের স্বপ্নাদেশ পেয়ে মহারাজ নন্দকুমার কাশী যাত্রা করেন। তাঁর কাকা রঘুনাথ রায় রাজকার্য্যো উপলক্ষে সেসময় তখন কাশীতে বসবাস করতেন ।


                           মহারাজা নন্দকুমার

১৭০৫ সালে বর্তমান বীরভূম জেলার নলহাটি থানার ভদ্রপুর গ্রামে নন্দকুমার জন্মগ্রহণ করেন। তিনি একজন সত, ধর্মপ্রাণ, উদার, মহানুভব, মানবদরদী ব্রাহ্মণ  ছিলেন ৷  তিনি রাধামোহন ঠাকুরের নিকট বৈষ্ণবধর্মে দীক্ষিত হয়েছিলেন। মুঘল সম্রাট দ্বিতীয় শাহ আলম ১৭৬৪ সালে নন্দকুমারকে ‘মহারাজা’ উপাধি প্রদান করেছিলেন। ১৭৬৪ সালে ওয়ারেন হেস্টিংসের পর তিনি ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি কর্তৃক বর্ধমান, নদিয়া ও হুগলির দেওয়ান হিসেবে নিযুক্ত হয়েছিলেন। ব্রিটিশ আমলে তিনিই ছিলেন প্রথম ভারতীয়, যিনি বিচারে ফাঁসির সাজা পান। যাই হোক সে বিষয়ে পরে আসছি ...................!


কাশী পৌঁছেই , মহারাজ নন্দকুমার তার খুড়তুতো ভাই শম্ভুনাথকে সঙ্গে নিয়ে কাশীরাজ চৈত সিংহ-কে মায়ের স্বপ্নাদশর্ন ও তার কাশী আসার বিস্তারিত কারণ বর্ণনা করেন ৷ কাশীরাজ চৈত সিংহ সব শুনে তো হাতের নাগালে যেন চাঁদ পেলেন। কাশীরাজ হেস্টিংসের অগোচরে মাতৃমূর্তি গঙ্গাবক্ষ থেকে উদ্ধার করে ভদ্রপুরের উদ্দেশ্যে বিগ্রহ সহ নন্দকুমারকে জলপথে রওনা করিয়ে দিলেন ৷ দীর্ঘ গঙ্গা নদীপথ, দ্বারকা নদী অতিক্রম করে অবশেষে ব্রাহ্মণী নদীতে প্রবেশের পরে ভদ্রপুরের নিকটবর্তী আকালী পুর এসে পৌঁছালে, নদী পাড়ের একটি শ্মশানের সন্নিকটে জন মানবহীন নির্জন, মায়াবী স্থানে এসে, নৌকা তার গতি শক্তি হারিয়ে ফেললে, নৌকা সেখানেই স্তব্ধ হয়ে যায়। এবং মায়ের আদেশ মনে করেই উক্ত স্থানকেই মাতৃমন্দির প্রতিষ্ঠার জন্য মনোনীত করা হয় ৷ তন্ত্রোক্ত বিধান অনুসারে নদীতটে বেদীমূলে বিগ্রহ অস্থায়ীভাবে স্থাপন করে সাড়ম্বরে শুরু হয় সুরক্ষিত মন্দির তৈরীর কাজ ৷ সময়টা সম্ভবত ১৭৭২ খ্রীষ্টাব্দের ২৫ শে জানুয়ারি, বাংলায় ১১৭৮ সালের ১১ ই মাঘ, দিনটি ছিল শনিবার।


                                 মহা শ্মশান
               মহা শ্মশানে প্রতিষ্ঠিত মায়ের বেদী মূল।

মন্দির ও মায়ের মূর্তি সক্রান্ত এই খবর কোনো ভাবে ওয়ারেন হেস্টিংস এর কানে এসে পৌঁছায়। তার পর শুরু হয় মহারাজ নন্দকুমারের বিরুদ্ধে এক সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র! যে কারণে হেস্টিংস পরের বছর অর্থাৎ ১৭৭৩ খ্রীষ্টাব্দে  বাংলার গভর্নর-জেনারেল হয়ে কোলকাতায় আসেন। এরপর ১৭৭৪ সালে ওয়ারেন হেস্টিংস নন্দকুমারের বিরুদ্ধে মিথ্যা দুর্নীতির অভিযোগ আনেন। ঔপনিবেশিক ভারতের প্রথম প্রধান বিচারপতি স্যার এলিজা ইম্পের অধীনে তার মামলা চলে। ইম্পে ছিলেন ওয়ারেন হেস্টিংসের বন্ধু। ফলে যা হবার তাই হলো! সাজানো মিথ্যা মামলায় নন্দকুমার দোষী সাব্যস্ত হন।  ১৭৭৫ খ্রীষ্টাব্দের ৫-ই আগস্ট ফাঁসীর দিন ঘোষণা করা হয় ৷ তবুও ঈশ্বরে অগাধ বিশ্বাসী মৃত্যুপথযাত্রী দৃঢ়প্রতিজ্ঞ মহারাজ নন্দকুমারের নির্দেশে তাঁর  শোকাচ্ছন্ন পুত্র গুরুদাস রায় অসমাপ্ত মন্দিরে মায়ের প্রতিষ্ঠাকার্য সম্পন্ন করেন ৷ প্রচলিত আছে, মহারাজের ফাঁসীর সঙ্গে সঙ্গে মন্দিরের চূড়ার নিকট উত্তরাংশের দেওয়ালে বড় ফাটল তৈরী হয়।

              সেই ফেটে যাওয়া মন্দিরের দেওয়াল ।

আজও সেই ইতিহাসের সাক্ষ্য বহন করে, যথা স্থানে সগর্বে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে মায়ের আটটি কোণ যুক্ত বা অষ্টকোনাকৃতি ইটের এই মন্দিরটি। 

          অষ্টকোনাকৃতি (আটটি কোণ যুক্ত) মাতৃ মন্দির

মায়ের অষ্টকোণাকৃতি মন্দির সাধককে অষ্টাঙ্গিক যোগ মার্গের নির্দেশ করে। যা হলো..... যম, নিয়ম, আসন, প্রাণায়াম, প্রত‍্যাহার, ধারণা, ধ‍্যান ও সমাধি। আজও নন্দকুমারের বংশধররা, বংশ পরম্পরায় মায়ের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে বহাল রয়েছেন। রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে মহারাজ নন্দকুমারের রাজবাড়ি বর্তমানে সম্পূর্ণ রূপে ধংস হয়ে গেছে। তবে মায়ের মন্দিরে আজও নিত‍্য সেবা হয়। প্রতিদিন মাকে দুপুরের ভোগে মাছের টক নিবেদন করা হয়। শোনা যায় এই পদটি মায়ের নাকি খুব প্রিয়। প্রসঙ্গত জানিয়ে রাখি এখানে বছরে দুইবার মেলা বসে। আশ্বিন মাসে দেবী পক্ষের শুক্লা চতুর্দশী ও  পৌষ সংক্রান্তিতে একদিনের মেলা বসে। এছাড়াও মাঘ মাসে কৃষ্ণা রটন্তী তিথিতে মায়ের বিশেষ পূজা হয়। তবে পূজা হয় দিবাভাগে, রাত্রে নয়।  আজকের আধুনিক যুগে সর্বসাধারণের কাছে যদিও মন্দিরের নির্মাণ বড় সাদামাটা মনে হলেও, বাস্তবে সেসময়ে অত্যন্ত গোপনীয়তার সঙ্গে তন্ত্র সম্মতভাবে সাধনার উপযোগী স্থান ছিল এই মন্দির । আজও সেই মায়াবী পরিবেশ আংশিক হলেও বিদ্যমান।   

               মন্দির সংলগ্ন স্নানের জন্য নদী ঘাট।
     মন্দিরের পাশ দিয়ে বয়ে চলা ব্রাহ্মণী নদী।


#মনে রাখা জরুরী


মা এর পূজো প্রতিদিন বেলা ১০:৩০ থেকে ১১:০০  নাগাদ একবারই হয়। দুপুরে এখানে নিত‍্য ভোগ প্রসাদের ব‍্যবস্থা আছে। জনপ্রতি ৫০টাকা। তবে অবশ্যই আগে নিন্মোক্ত নাম্বারে ফোন করে জানাতে হবে যে কতজন প্রসাদ গ্রহণ করতে ইচ্ছূক। মায়ের মন্দিরের পাশ দিয়েই বয়ে চলেছে ব্রাহ্মণী নদী ও পাশেই নির্জন শ্মশান! তাই এখানে দর্শনার্থীদের থাকার জন‍্য বা রাত্রি বাসের তেমন বিশেষ কোন ব‍্যবস্থা নেই। মন্দিরের পাশে দু তিনটি ডালাঘর আছে। পানীয় জল বা টয়লেটের ব‍্যবস্থাও তেমন নেই। একটি টয়লেট আছে।

মন্দিরে পূজা, ভোগ প্রসাদ ইত‍্যাদির জন‍্য যোগাযোগ করতে পারেন পূজারীর সঙ্গে। শ্রী দেবাশীষ বন্দ‍্যোপাধ‍্যায় - 9474831916/ 8670355422। ইনি সকল দর্শনার্থীদের আন্তরিক ভাবে আপ‍্যায়ন করেন,পীঠ প্রসঙ্গে বলেন। খুব ভালো মনের একজন মানুষ। এছাড়াও সুব্রত ভট্টাচার্য, ইনি একজন স্থানীয় দোকানদার , পূজার ডালা ও মায়ের ছবি বিক্রেতা, পীঠ প্রসঙ্গে অনেক কিছুই জানেন, প্রসাদের জন্য এনার সাথেও যোগাযোগ করতে পারেন - 9732269132


#কিভাবে যাবেন

আকালীপুরে যাওয়ার সবচেয়ে সহজ উপায় হলো হাওড়া বা শিয়াল দহ থেকে ট্রেনে করে নলহাটি আসা। এখান থেকে বহরমপুরের দিকে বাসে করে ১০-১২ কিমি দুরে নগড়া মোড়। এখান থেকে টোটো বা ভ‍্যান এ ডানদিকের গ্রাম ও মোঠো পথ দিয়ে গুহ‍্যকালী মন্দির মাত্র চার কিমি। যাওয়ার সময় যে টোটোয় যাবেন তাকেই ফেরার জন‍্য বলে রাখুন, কারন না হলে ফেরার গাড়ি পাওয়ার কোনো নিশ্চয়তা নেই। বা নলহাটি থেকে সরাসরি গাড়ি বুক করেও যেতে পারেন। আবার রামপুর হাট থেকেও বাস আসছে নগড়া মোড়ে। কিনবা তারাপীঠ দর্শন করে গাড়ি ভাড়া করে নলহাটিতে নলাটেশ্বরী দেখে আকালীপুর আসতে পারেন। দর্শন সেরেই আবার নলহাটি বা তারাপীঠে ফিরে যান।

গুহ্যকালীসাধনার অভীষ্ট মন্ত্র !

ক্রীঁ ক্রীঁ ক্রীঁ হূঁ হূঁ হ্রীঁ হ্রীঁ গুহ্যকালিকে ক্রীঁ ক্রীঁ ক্রীঁ হূঁ হুঁ হ্রীঁ হ্রীঁ স্বাহা

ওঁ ফ্রেং ফ্রেং ক্রোং ক্রোং পশূন্‌ গৃহাণ হুঁ ফট্‌ স্বাহা।

গায়ত্রীːগুহ্যকালিকায়ৈ বিদ্মহে শ্মশানবাসিন্যৈ ধীমহি। তন্নো ঘোরে প্রচোদয়াৎ।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

ভোজ্য পত্র কি ? আসল ও নকল ভোজ্য পত্র চিনবেন কিভাবে ?

বারো মুখী রুদ্রাক্ষের উপকারিতা ও ব্যবহার বিধি !

স্বপ্ন দোষ ? কালসর্প দোষ ? বশীকরণ বা কর্মে সাফল্য চান? তাহলে জানুন ময়ুর পালকের কিছু অসামান্য গুনাগুন!