বাস্তুর বিভিন্ন সমস্যার সমাধানে বাড়ির এই সমস্ত জায়গায় রাখুন ঘোড়ার স্ট্যাচু বা মূর্তি !
ইচ্ছা না থাকলেও বাড়ি তৈরি করার পড়ে অনেক সময় লক্ষ্য করে দেখা যায়, বাড়ি তৈরি করার সময়, বাস্তুতে অনেক ছোট খাটো ভুল হয়ে গিয়েছে। এই ছোট ছোট ভুলের কারণে আপনার জীবনে হতে পারে অনেক বড় বড় সমস্যা! কখনও শারীরিক বা কখনও আর্থিক। কিন্তু সকলের পক্ষে সবসময় তো আর ভেঙ্গে পুনরায় তৈরি করা সম্ভব নয়, এবং তা সময় ও খরচ সাপেক্ষ। তাই গৃহস্থের অন্দরে করা ছোট্ট ছোট্ট পরিবর্তন করে কীভাবে আমাদের কর্ম জীবন ও সৌভাগ্য কে উন্নতির স্রোতের অনুকূলে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি। এবং দুর্ভাগ্য কে বদলে সৌভাগ্যতে পরিবর্তিত করতে পারি।,
যেমন ধরুন বাড়িতে ঘোড়ার শো-পিস রাখলে নানাবিধ উপকার পাওয়া যায়। অনেক বাস্তুবিদ্ ও ফেংশুই বিশেষজ্ঞ বলে থাকেন যে, ড্রয়িং রুমে ঘোড়ার শো-পিস রাখলে যেকোনও ধরনের সমস্যা যেমন মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে পারে না, তেমনি আরও নানা ধরনের উপকার মেলে। যেমন ধরুন...
১. জীবন হয়ে ওঠে বাধাহীন!
২. অর্থনৈতিক উন্নতি ঘটে:
বাস্তু বিশেষজ্ঞ হিসেবে আমি এটা বলতে পারি, বাড়ির বৈঠক খানা ঘরের দক্ষিণ দিকে দরজার ঠিক পাশে দৌড়াচ্ছে এমন ঘোড়ার শো-পিস রাখুন। (অবশ্যই খেয়াল রাখবেন ঘোড়ার মুখ যেন ঘরের ভেতরের দিকে থাকে) কিছুদিন পর থেকে আপনি নিজেই নিজের মধ্যে একটি পজেটিভ শক্তির উপস্থিতি উপলব্ধি করতে পারবেন। ফলে আপনার কর্ম ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। এবং খুব অল্প সময়ে আপনার ভাগ্যের উন্নতি ঘটতে পারে। এবং আপনার স্বপ্ন পূরণ হতে সময় লাগবে না। সেই সঙ্গে কোনও ধরনের অর্থনৈতিক ক্ষতির সম্মুখিন হওয়ার আশঙ্কাও কমে যাবে। তাই আপনি যদি নিজের মধ্যে পজেটিভ এনার্জি বৃদ্ধি করে, কর্মে উদ্যাগী হয়ে সুনিশ্চিত জীবন যাপন করতে চান, এবং আর্থিক ভাবে সমৃদ্ধি শালি হতে চান, তাহলে এই বাস্তু নিয়মটি মেনে চলতে ভুলবেন না যেন!
৩. রোগ-ব্যাধি থেকে মুক্তি পেতে!
নানাবিধ রোগের খপ্পরে পরে কি জীবন দুর্বিসহ হয়ে উঠেছে? তাহলে বন্ধু বাড়ির দক্ষিণ পশ্চিম কোণে একটা ঘোড়ার স্ট্যাচু এনে রাখুন। এমনটা করলে দেখবেন আপনার কষ্ট ধীরে ধীরে কমতে শুরু করবে। সেই সঙ্গে আগামী সময়ে কোনও ধরনের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও অনেক খানি কমে যাবে। আসলে এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে, বাড়ির এই নির্দিষ্ট স্থানে ঘোড়ার মূর্তি এনে রাখলে গৃহস্থের অন্দরে পজেটিভ শক্তির মাত্রা এতটা বেড়ে যায় যে তার প্রভাবে ছোট-বড় কোনও রোগই ধারে কাছে ঘেঁষতে পারে না।
৪. সৌভাগ্য আপনার নিত্যদিনের সঙ্গী :
জীবনের প্রতিটি ধাপে সফলতা পেতে ভাগ্যের যে একটা বিশেষ ভূমিকা রয়েছে সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই! তাই তো বন্ধু আপনার কর্মক্ষেত্রে অর্থাৎ উত্তর দিকে একটা ঘোড়ার শো-পিস এনে রাখতে পারেন। বাস্তু বিশেষজ্ঞদের মতে এমনটা করলে সৌভাগ্য নিত্যদিনের সঙ্গী হয়ে ওঠে। ফলে চরম সফলতার স্বাদ পেতে যেমন সময় লাগে না, তেমনি জীবনে হারিয়ে যাওয়া সুখ-শান্তিও শীঘ্রই ফিরে আসে। সেই সঙ্গে যে কোনও ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কাও অনেকাংশে কমে যায়।
৫. নেগেটিভ শক্তির প্রবেশের পথে বাধা সৃষ্টি করে:
বাস্তুশাস্ত্রের উপর লেখা একাধিক বই অনুসারে বাড়ির সদরজার বাইরে, মুল ফটকের বাইরের দিকে মুখ করে যদি সাতটি কালো ঘোড়া দৌড়াচ্ছে এমন ছবি বা মুর্তি রাখা যায়, তাহলে গৃহস্থের অন্দরে নেগেটিভ শক্তির প্রবেশের পথে বাধা সৃষ্টি করে। ফলে কোনও ধরনের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা যেমন কমে, তেমনি পজেটিভ এনার্জি, নেগেটিভ শক্তির জায়গা নেওয়ার কারণে কোনও ধরনের নেতিবাচক ঘটনা ঘটার সম্ভাবনাও কমতে থাকে। সেই সঙ্গে কর্মক্ষেত্র থেকে সামাজিক জীবন, সবক্ষেত্রেই সম্মান বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা যায় বেড়ে। প্রসঙ্গত, মূল ফটকের সামনে ঘোড়ার মূর্তি রাখলে নজর দোষ বা কালো যাদুর প্রভাব কমতেও সময় লাগে না।
৬. দাম্পত্য জীবনে সুখ-শান্তি বজায় থাকে:
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে শোয়ার ঘরে এক জোড়া ঘোড়ার (পুরুষ ও নারী) শো-পিস রাখলে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যেকার সম্পর্কের উন্নতি ঘটে। সেই সঙ্গে বৈবাহিক জীবনে কোনও ধরনের সমস্যা বেড়ে ওঠার আশঙ্কাও যায় কমে। তাই পারিবারিক দাম্পত্যের সুখ শান্তি বজায় রাখতে এক জোড়া ঘোড়ার মূর্তি কিনে এনে বেড রুমে রাখতে পারেন।
৭. সাতটি সাদা ঘোড়া দৌড়াচ্ছে !
অফিস বা বাড়ির একটি বিশেষ দিকে, বিশেষ ভাবে সাতটি ঘোড়া এক সঙ্গে দৌড়াচ্ছে, এমন ছবি বা শো-পিস রাখলে কর্মক্ষেত্রে চটজলদি উন্নতি লাভের সম্ভাবনা যায় বেড়ে। সেই সঙ্গে অর্থনৈতিক উন্নতিও ঘটে চোখে পরার মতো। প্রসঙ্গত, আপনি যদি কোনও ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকেন, তাহলেও এই টোটাকাটিকে কাজে লাগাতে পারেন। কারণ এমনটা করলে ব্যবসা সংক্রান্ত কোনও সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এই বিষয়ের ওপর আমার ইউটিউব চ্যানেলে (dhar arts) বিস্তারিত ভাবে ভিডিও আছে। চাইলে দেখতে পারেন।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন