এই উদ্ভিদ বসানোর সবথেকে শুভ দিক হচ্ছে আগ্নেয় কোণ। অর্থাৎ দক্ষিণ পূর্ব কোণ। কিন্তু এই আগ্নেয় কোণ কেন? কারণ শাস্ত্রমতে আগ্নেয় কোণের দেবতা সিদ্ধিদাতা ভগবান গনেশ। আর ভগবান গনেশ সদা মঙ্গল ময়, ও শুভ - লাভের প্রতিক। আর ঐ দিকের প্রতিনিধিত্ব করেন স্বয়ং দৈত্য গুরু শুক্রাচার্য্য। আর শুক্র হলো সুখ সমৃদ্ধি ও বৈভবের কারক। তবে অবশ্যই মনে রাখবেন, ভূল করেও এই উদ্ভিদ ঈশান কোণ অর্থাৎ উত্তর পূর্ব কোণের দিকে রাখবেন না, বা রোপন করবেন না। কারণ এতে আপনি আর্থিক ক্ষয় ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারেন। কারণ ঈশান কোণের প্রতিনিধিত্ব করেন স্বয়ং দেবগুরু বৃহস্পতি। বৃহস্পতি দেবগুরু আর শুক্রাচার্য্য দৈত্য গুরু হওয়ার কারণে একে অপরের মধ্যে শত্রু ভাব বিদ্যমান। তবে মানি প্ল্যান্টের কিছু ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বন অবশ্যই করতে হবে। আমি অনেক যায়গায় দেখেছি যে, একটা সময়ের পর মানি প্ল্যান্ট সাধারণত প্রাকৃতিক নিয়মে বেড়ে উঠলেও, এর স্বাস্থের প্রতি একদমই নজর দেওয়া হয় না। যা একদমই উচিত নয়। এতে নেগেটিভ এনার্জি বৃদ্ধি পায়। যে স্থানে মানি প্ল্যান্ট রয়েছে, ঐ স্থান টি সর্বদা পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। পচন বা শুকিয়ে নষ্ট হয়ে যাওয়া পাতা প্রথমেই ছেঁটে ফেলতে হবে। আর খেয়াল রাখবেন, মানি প্ল্যান্ট লতিয়ে যেন মাটিতে না নেমে আসে। এতে কিন্তু আর্থিক ক্ষতির ইঙ্গিত বহন করে। কোনো লাঠির সাহায্যে একে বাঁধন দিয়ে ওপরের দিকে উঠতে সহায়তা করুন।
সবুজ উদ্ভিদের অবদান আমরা কখনোই অস্বীকার করতে পারি না। আমরা প্রায় সকলেই সবুজ গাছ ভালোবাসি। আসলে সবুজ রঙ আমাদের শরীর ও মন উভয়কেই শান্তি প্রদান করে। বেশির ভাগ উদ্ভিদ নেগেটিভ শক্তি শোষণ করে পজেটিভ শক্তি বৃদ্ধি করে। বৈজ্ঞানিক ভাষায় বলতে গেলে সবুজ উদ্ভিদ কার্বন ডাই অক্সাইড গ্রহণ করে, আর অক্সিজেন পরিত্যাগ করে। আজ আমি এই উদ্ভিদ কুলের মধ্যে থেকে একটি বিশেষ উদ্ভিদের কথা বলবো, যার নাম মানি প্ল্যান্ট! মানি প্ল্যান্ট, অর্থাৎ বাংলায় এর অর্থ হলো টাকার গাছ। অনেকেই বলবে যত্ত সব বাজে কথা, বুজরুকি! যারা বাস্তু বা ফেংশুই তে বিশ্বাস করেন, বা যারা করেন না, তাদের উভয়কেই বলবো আমরা প্রত্যেকেই সবুজ বাহারি গাছ নিশ্চয়ই ভালোবাসি। সেই মনে করে একটি ছোট্ট মানি প্ল্যান্ট আপনার বাড়িতে নিয়ে আসুন। তারপর দেখুন চমৎকার! মা লক্ষ্মী ও সিদ্ধি দাতা গনেশের আশির্বাদে আপনার গৃহে প্রতিনিয়ত উত্তরোত্তর ধন সম্পদ বৃদ্ধি পেতেই থাকবে। কিন্তু বাড়িতে নিয়ে আসলেই তো আর হবে না। তার জন্য সঠিক দিন ও সঠিক স্থান আছে। বাস্তু শাস্ত্র অনুযায়ী প্রতিটা বৃক্ষের জন্য একটি নির্দিষ্ট দিক ও স্থান আছে। নির্দিষ্ট স্থানে বৃক্ষ রোপন করলে তার থেকে শুভ ফল অবশ্যই পাওয়া যায়। এইবার আমি বলবো বাড়ির কোন যায়গায় কিভাবে রাখলে মানিপ্ল্যান্ট শুভ ফল প্রদান করে। মানি প্ল্যান্ট এক ধরনের লতানো উদ্ভিদ। প্রথমেই বলবো, মানি প্ল্যান্ট টি যে কোনো শুক্রবার আপনার বাড়িতে নিয়ে আসুন। এর ডগা কেটে রোপন করলেও এইটি জীবিত হয়ে যাবে। একটি গামলা বা টবে মাটি দিয়ে এটি বসাতে পারেন। অথবা স্বচ্ছ পরিষ্কার কাঁচের বোতলে, স্বচ্ছ পরিষ্কার জল দিয়ে তার মধ্যে মানি প্ল্যান্টের ডগা টি মূল সহ আংশিক ডুবিয়ে রেখে দিন। দেখবেন কয়েক দিনের মধ্যে জলের বোতলের ভেতরে মূল বাড়তে শুরু করেছে। এবং নির্দিষ্ট দিন অন্তর অন্তর জল অবশ্যই পালটে ফেলতে হবে। এই বার প্রশ্ন হচ্ছে বাড়ির কোন দিকে বসালে আপনি শুভ ফল লাভ করবেন ?
এতে উদ্ভিদ টি বৃদ্ধি পেয়ে যত ওপরের দিকে উঠবে, এবং এর সবুজ উজ্জ্বলতা যত বৃদ্ধি পাবে, আপনার আয় উন্নতি সুখ সমৃদ্ধি তত বৃদ্ধি পাবে। এখন আপনার মনে প্রশ্ন আসতে পারে, এটা আপনি কিভাবে এবং কোথা থেকে সংগ্রহ করবেন? অনেক বাস্তু কারই ভিন্ন ভিন্ন ধরনের উপায় বা সাজেস্ট বলে থাকেন। কেউ বলেন কোনো বাড়ি থেকে চুরি করে আনলে নাকি ফলদায়ক বেশী হয়। আমি বলবো এগুলো একধরনের ম্যানিয়া বা বাতিক ছাড়া আর কিচ্ছু নয়। আপনার এলাকায় যদি এই উদ্ভিদ টি না পান, তাহলে আপনার নিকটবর্তী নার্সারিতে বলে আনিয়ে নিন। না হলে অনলাইনেও আনাতে পারেন, তবে তা খরচ সাপেক্ষ।
সব শেষে একটাই কথা বলবো, কোনো কিছু জানার থাকলে অবশ্যই কমেন্ট করবেন। আর যদি জ্যোতিষ, বাস্তু, ফেংশুই, যন্ত্র, তন্ত্র সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে চান, তাহলে আমাদের এই পেজটি তে লাইক দিন, আর আমাদের ইউটিউব চ্যানেল ( DHAR ARTS ) টি সাবস্ক্রাইব করে পাশের নোটিফিকেশন বেল আইকন টি প্রেস করে দিন......।










ليست هناك تعليقات:
إرسال تعليق