বাড়ির জমির ভিতর অশুভ শক্তির প্রবেশের পথে বাধা সৃষ্টির অব্যর্থ উপায় হলো এই ঘোড়ার নাল!


আপনি নতুন ফ্ল্যাট কিনেছেন, বা জমি কিনে নতুন বাড়ি তৈরি করেছেন? কিন্তু সম্পূর্ণ হয়ে যাওয়ার পরও কিছু কিছু ত্রুটি থেকে যায়। বা বলতে পারি অনেক সময় চাইলেও সঠিক ভাবে বাস্তু অনুসারে ঘর বাড়ি তৈরি করা সম্ভব হয়ে ওঠে না। আজকের এই প্রতিবেদনে আমি বলবো নতুন বাড়ি বা ফ্ল্যাট সাজানোর পরেও কিছু কিছু ছোট খাটো দোষ থেকে যায়। যার কারণে অনেক সময় আপনার পরিবারে লেগে থাকে ছোট খাটো অশান্তি, ঝুট ঝামেলা। আয়ের তুলনায় ব্যায় বেশি, ব্যবসায় মন্দা, ঋণ, মামলা মোকদ্দমা, রোগ ব্যাধি, এছাড়াও আরও অনেক কিছু হতে পারে। বাস্তু, ফেংশুই মতে এমন কিছু কিছু সহজ লভ্য দ্রব্য আছে, যা দিয়ে অতি সহজেই বাস্তু দোষ নিয়ন্ত্রণ করা যায়। 

এখন আমি সেই দ্রব্য নিয়েই আলোচনা করবো। আজকের এই প্রতিবেদনে আমি বলবো ঘোড়ার পায়ের নালের কথা......! আমার ইউটিউব চ্যানেলে ( DHAR ARTS ) ঘোড়ার নাল সম্পর্কিত ভিডিও আছে, চাইলে দেখে নিতে পারেন। এই সম্পর্কে আমি আরও বিস্তারিত ভাবে অন্য প্রতিবেদনে পর্যায়ক্রমে আলোচনা করবো। এই নাল দ্বারা সকল প্রকার কুদৃষ্টি / কুপ্রভাব নষ্ট হয়। অবশ্যই রাহু ও শনির খারাপ প্রভাব ব্যহত হয়। বাড়ির জমির ভিতর অশুভ শক্তির প্রবেশের পথে বাধা সৃষ্টির অব্যর্থ উপায় হলো এই ঘোড়ার নাল! কিন্তু কিভাবে করবেন এই কাজটি? এবার আলোচনা করে নেওয়া যাক। চারটি কালো ঘোড়ার খুর বা নাল (এখানে উল্লেখ্য খুর ও নাল একই জিনিস ) সংগ্রহ করুন। কিন্তু শুধু সংগ্রহ করে আনলেই তো হলো না, তারপরেও কাজ থাকে। সেই কাজ টি হলো, সঠিক ভাবে 'শোধন প্রক্রিয়া'।  আপনি যেকোনো দিন এই নাল সংগ্রহ করতে পারেন, কিন্তু এই নাল শোধনের কাজটি আপনাকে করতে হবে অবশ্যই শনিবার।


শনিবার সকালে স্নান করে শুদ্ধ হয়ে নিজের গৃহ দেবতার সম্মুখে পূজার জন্য বসতে হবে , একটি বা চারটি শুদ্ধ পাত্র নেবেন, এক্ষেত্রে তামা, বা পাথর বাটি ব্যবহার করতে পারলে ভালো হয়। সেই পাত্রে পরিমাণ মতো সর্ষের তেল দিয়ে দিন, ততটাই তেল দেবেন, যাতে ঐ পাত্রের মধ্যে চারটি কালো ঘোড়ার নাল সম্পূর্ণ ভাবে ডুবে যায়। পাত্রের তেলের মধ্যে ভালো ভাবে ঐ চারটি নাল ডুবিয়ে দিন, এরপর নিজের গৃহ দেবতার পূজা সম্পন্ন করুন। সারাদিন ঐ তেলে নাল গুলো ডোবা অবস্থায় থাকার পর , সন্ধ্যায় পুনরায় শুদ্ধ হয়ে, তেলের পাত্র থেকে ঐ নাল গুলো তুলে নিতে হবে, তার পর ভালো করে শুদ্ধ বস্ত্র দিয়ে ঐ তেল পরিষ্কার করে নিতে হবে। এবার আলাদা পাত্রে ( তামা, বা পাথর বাটি ) রাখা কাঁচা দুধ মিশ্রিত গঙ্গাজলে আবার নাল গুলো ডুবিয়ে দিন। একটু পরেই তুলে নিয়ে, আবার শুদ্ধ বস্ত্র দিয়ে পরিস্কার করে শুষ্ক করে নিন, তার পর সেটিকে একটি কালো অথবা নীল কাপড়ের টুকরোর মধ্যে ভালো করে জড়িয়ে নেবেন। তারপর গৃহে থাকা ভগবান শিব ও শ্রীহরি (শ্রীবিষ্ণু, শ্রীকৃষ্ণ, শ্রীরাম )র শ্রী চরণে স্পর্শ করিয়ে নেবেন।

এরপর এই সন্ধ্যা বেলাতেই ঐ নাল গুলো নিয়ে আপনার নিকটবর্তী যে কোনো শনি মন্দিরে নিয়ে যাবেন, তারপর নিজের নাম (বাড়ির কর্তা বা কর্মী) গোত্র ও দক্ষিণা দিয়ে বিধি অনুযায়ী পুরোহিত দ্বারা পূজা করিয়ে নেবেন। এরপর নাল ডোবানো ঐ সর্ষের তেল এই সন্ধ্যাবেলাতেই কোনো অশ্বত্থ গাছের গোড়ায় দিয়ে দেবেন, আর দুধ মিশ্রিত গঙ্গাজল কোন পুকুর, জলাশয় বা নদীতে দিয়ে দেবেন। এইবার শোধন করা ঐ চারটি নাল বাড়ির চার কোণে পেরেক দিয়ে লাগাতে হবে। খেয়াল রাখবেন নাল লাগানোর সময়ে নালের দুটি পা যেন নিচের দিকে থাকে, অর্থাৎ গোল অংশ টি যেন ওপর দিকে থাকে। এমন ভাবে লাগাবেন, যাতে দেখা না যায়, অর্থাৎ গোপনীয়তা বজায় রাখবেন। কারণ চুরি হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। এই ক্ষেত্রে বলবো, নাল লাগানোর পর সিমেন্ট বালি দিয়ে উক্ত যায়গা প্লাস্টার করে দিতে ভুলবেন না। নতুন ঘরের কলম দেওয়ার সময়ও এই একই ভাবে ঘরের চারদিকের চারটে কলমে, চারটে নাল দিয়ে একটি অদৃশ্য সুরক্ষা বলয় তৈরি করুন, যা আপনার সাধের ঘর কে সর্বদা নেগেটিভ এনার্জি থেকে সুরক্ষা প্রদান করবে।


সব শেষে একটাই কথা বলবো, কোনো কিছু জানার থাকলে অবশ্যই কমেন্ট করবেন। আর যদি জ্যোতিষ, বাস্তু, ফেংশুই, যন্ত্র, তন্ত্র সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে চান, তাহলে আমাদের এই পেজটি তে লাইক দিন, আর আমাদের ইউটিউব চ্যানেল ( DHAR ARTS ) টি সাবস্ক্রাইব করে পাশের নোটিফিকেশন বেল আইকন টি প্রেস করে দিন......।


                                                 ধন্যবাদ



মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

বারো মুখী রুদ্রাক্ষের উপকারিতা ও ব্যবহার বিধি !

ভোজ্য পত্র কি ? আসল ও নকল ভোজ্য পত্র চিনবেন কিভাবে ?

স্বপ্ন দোষ ? কালসর্প দোষ ? বশীকরণ বা কর্মে সাফল্য চান? তাহলে জানুন ময়ুর পালকের কিছু অসামান্য গুনাগুন!