NEWS ARTICLES, ASTROLOGY, TRAVEL, HEALTH, RUDRAKSHA, VASTU , FENGSHUI
বাড়ির জমির ভিতর অশুভ শক্তির প্রবেশের পথে বাধা সৃষ্টির অব্যর্থ উপায় হলো এই ঘোড়ার নাল!
লিঙ্ক পান
Facebook
X
Pinterest
ইমেল
অন্যান্য অ্যাপ
আপনি নতুন ফ্ল্যাট কিনেছেন, বা জমি কিনে নতুন বাড়ি তৈরি করেছেন? কিন্তু সম্পূর্ণ হয়ে যাওয়ার পরও কিছু কিছু ত্রুটি থেকে যায়। বা বলতে পারি অনেক সময় চাইলেও সঠিক ভাবে বাস্তু অনুসারে ঘর বাড়ি তৈরি করা সম্ভব হয়ে ওঠে না। আজকের এই প্রতিবেদনে আমি বলবো নতুন বাড়ি বা ফ্ল্যাট সাজানোর পরেও কিছু কিছু ছোট খাটো দোষ থেকে যায়। যার কারণে অনেক সময় আপনার পরিবারে লেগে থাকে ছোট খাটো অশান্তি, ঝুট ঝামেলা। আয়ের তুলনায় ব্যায় বেশি, ব্যবসায় মন্দা, ঋণ, মামলা মোকদ্দমা, রোগ ব্যাধি, এছাড়াও আরও অনেক কিছু হতে পারে। বাস্তু, ফেংশুই মতে এমন কিছু কিছু সহজ লভ্য দ্রব্য আছে, যা দিয়ে অতি সহজেই বাস্তু দোষ নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
এখন আমি সেই দ্রব্য নিয়েই আলোচনা করবো। আজকের এই প্রতিবেদনে আমি বলবো ঘোড়ার পায়ের নালের কথা......! আমার ইউটিউব চ্যানেলে ( DHAR ARTS ) ঘোড়ার নাল সম্পর্কিত ভিডিও আছে, চাইলে দেখে নিতে পারেন। এই সম্পর্কে আমি আরও বিস্তারিত ভাবে অন্য প্রতিবেদনে পর্যায়ক্রমে আলোচনা করবো। এই নাল দ্বারা সকল প্রকার কুদৃষ্টি / কুপ্রভাব নষ্ট হয়। অবশ্যই রাহু ও শনির খারাপ প্রভাব ব্যহত হয়। বাড়ির জমির ভিতর অশুভ শক্তির প্রবেশের পথে বাধা সৃষ্টির অব্যর্থ উপায় হলো এই ঘোড়ার নাল! কিন্তু কিভাবে করবেন এই কাজটি? এবার আলোচনা করে নেওয়া যাক। চারটি কালো ঘোড়ার খুর বা নাল (এখানে উল্লেখ্য খুর ও নাল একই জিনিস ) সংগ্রহ করুন। কিন্তু শুধু সংগ্রহ করে আনলেই তো হলো না, তারপরেও কাজ থাকে। সেই কাজ টি হলো, সঠিক ভাবে 'শোধন প্রক্রিয়া'। আপনি যেকোনো দিন এই নাল সংগ্রহ করতে পারেন, কিন্তু এই নাল শোধনের কাজটি আপনাকে করতে হবে অবশ্যই শনিবার।
শনিবার সকালে স্নান করে শুদ্ধ হয়ে নিজের গৃহ দেবতার সম্মুখে পূজার জন্য বসতে হবে , একটি বা চারটি শুদ্ধ পাত্র নেবেন, এক্ষেত্রে তামা, বা পাথর বাটি ব্যবহার করতে পারলে ভালো হয়। সেই পাত্রে পরিমাণ মতো সর্ষের তেল দিয়ে দিন, ততটাই তেল দেবেন, যাতে ঐ পাত্রের মধ্যে চারটি কালো ঘোড়ার নাল সম্পূর্ণ ভাবে ডুবে যায়। পাত্রের তেলের মধ্যে ভালো ভাবে ঐ চারটি নাল ডুবিয়ে দিন, এরপর নিজের গৃহ দেবতার পূজা সম্পন্ন করুন। সারাদিন ঐ তেলে নাল গুলো ডোবা অবস্থায় থাকার পর , সন্ধ্যায় পুনরায় শুদ্ধ হয়ে, তেলের পাত্র থেকে ঐ নাল গুলো তুলে নিতে হবে, তার পর ভালো করে শুদ্ধ বস্ত্র দিয়ে ঐ তেল পরিষ্কার করে নিতে হবে। এবার আলাদা পাত্রে ( তামা, বা পাথর বাটি ) রাখা কাঁচা দুধ মিশ্রিত গঙ্গাজলে আবার নাল গুলো ডুবিয়ে দিন। একটু পরেই তুলে নিয়ে, আবার শুদ্ধ বস্ত্র দিয়ে পরিস্কার করে শুষ্ক করে নিন, তার পর সেটিকে একটি কালো অথবা নীল কাপড়ের টুকরোর মধ্যে ভালো করে জড়িয়ে নেবেন। তারপর গৃহে থাকা ভগবান শিব ও শ্রীহরি (শ্রীবিষ্ণু, শ্রীকৃষ্ণ, শ্রীরাম )র শ্রী চরণে স্পর্শ করিয়ে নেবেন।
এরপর এই সন্ধ্যা বেলাতেই ঐ নাল গুলো নিয়ে আপনার নিকটবর্তী যে কোনো শনি মন্দিরে নিয়ে যাবেন, তারপর নিজের নাম (বাড়ির কর্তা বা কর্মী) গোত্র ও দক্ষিণা দিয়ে বিধি অনুযায়ী পুরোহিত দ্বারা পূজা করিয়ে নেবেন। এরপর নাল ডোবানো ঐ সর্ষের তেল এই সন্ধ্যাবেলাতেই কোনো অশ্বত্থ গাছের গোড়ায় দিয়ে দেবেন, আর দুধ মিশ্রিত গঙ্গাজল কোন পুকুর, জলাশয় বা নদীতে দিয়ে দেবেন। এইবার শোধন করা ঐ চারটি নাল বাড়ির চার কোণে পেরেক দিয়ে লাগাতে হবে। খেয়াল রাখবেন নাল লাগানোর সময়ে নালের দুটি পা যেন নিচের দিকে থাকে, অর্থাৎ গোল অংশ টি যেন ওপর দিকে থাকে। এমন ভাবে লাগাবেন, যাতে দেখা না যায়, অর্থাৎ গোপনীয়তা বজায় রাখবেন। কারণ চুরি হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। এই ক্ষেত্রে বলবো, নাল লাগানোর পর সিমেন্ট বালি দিয়ে উক্ত যায়গা প্লাস্টার করে দিতে ভুলবেন না। নতুন ঘরের কলম দেওয়ার সময়ও এই একই ভাবে ঘরের চারদিকের চারটে কলমে, চারটে নাল দিয়ে একটি অদৃশ্য সুরক্ষা বলয় তৈরি করুন, যা আপনার সাধের ঘর কে সর্বদা নেগেটিভ এনার্জি থেকে সুরক্ষা প্রদান করবে।
সব শেষে একটাই কথা বলবো, কোনো কিছু জানার থাকলে অবশ্যই কমেন্ট করবেন। আর যদি জ্যোতিষ, বাস্তু, ফেংশুই, যন্ত্র, তন্ত্র সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে চান, তাহলে আমাদের এই পেজটি তে লাইক দিন, আর আমাদের ইউটিউব চ্যানেল ( DHAR ARTS ) টি সাবস্ক্রাইব করে পাশের নোটিফিকেশন বেল আইকন টি প্রেস করে দিন......।
রুদ্রাক্ষ সম্পর্কে আমরা অনেকেই কম বা বেশী জানি। রুদ্রাক্ষ কথার অর্থ রুদ্রের অক্ষ! অর্থাৎ ভগবান শিবের চোখ। পৌরাণিক কাহিনী অনুসারে রুদ্রাক্ষ ভগবান শিবের অত্যন্ত প্রিয় বস্তুর মধ্যে একটি। আমরা যদি ঈশ্বরের বিশ্বাসী হই। যদি ভগবান শিবকে আরাধ্য বলে মনে করি, তাহলে রুদ্রাক্ষর গুরুত্ব কিন্তু আমরা কোনভাবেই অস্বীকার করতে পারি না। আসলে রুদ্রাক্ষ স্বয়ং ভগবান শিবের প্রতিরূপ! ভগবান শিব সকল দেবতার আরাধ্য। তাই রুদ্রাক্ষ যদি সঠিক বিধি অনুযায়ী ধারণ করা যায়, তাহলে অবশ্যই ভগবান শিবের সঙ্গে অন্যান্য দেবতারও আশির্বাদ লাভ হবে। মুল ভূখণ্ডে ১( এক থেকে একুশ) থেকে ২১ মুখী পর্যন্ত রুদ্রাক্ষ পাওয়া যায়। যার মধ্যে ১ থেকে ১২ মুখী পর্যন্ত রুদ্রাক্ষ সহজলভ্য। এবং ১৩ থেকে ২১ মুখী রুদ্রাক্ষ কিন্তু দুর্লভ এবং এর মূল্য হাতের নাগালের বাইরে। তবে ২ থেকে ৫ মুখী রুদ্রাক্ষ পর্যন্ত বাজারে পর্যাপ্ত পরিমাণে সহজেই পাওয়া যায়,এর মুল্য খুবই সাধারণ। আপনি হয়তো ভাবছেন কত মুখী রুদ্রাক্ষ ধারণ করা আপনার জন্য শুভ হবে? এক্ষেত্রে আমি বলবো, আপনি যেকোনো রুদ্রাক্ষ ধারণ করতে পারেন, তবে প্রতিটি রুদ্রাক্ষের মধ্যেই বিশেষ ভিন্ন ভিন্ন গু...
যন্ত্র, মন্ত্র ও তন্ত্রের কথা আলোচনা করতে গেলে অবধারিত ভাবে প্রথমেই ভোজ্য পত্রের কথা এসে যাবে। আগের দিনের ঋষি মুনিরা যত রকম পাতায় লেখা লেখি করতেন, তার মধ্যে ভোজ পত্র হলো অন্যতম ও শ্রেষ্ঠ উপাদান। আপনি যদি তন্ত্রোক্ত বিষয়ে আগ্রহী হয়ে থাকেন, তাহলে অবশ্যই আপনার ভোজ পত্র সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান থাকা জরুরী। এবং সেই সঙ্গে ভোজ্য পত্রের আসল আর নকলের পার্থক্য বুঝতে হবে। ভোজ্য পত্র আসলে কি? ভোজ্য পত্র আসলে গাছের একটি পাতলা বাকল বা ছাল! সংস্কৃত শব্দে ভূর্জ, ইংরেজি তে বলা হয় হিমালয়ান বার্চ। এর বৈজ্ঞানিক নাম Betula Utilis ( বেটুলা ইউটিলিস)। এইটি পশ্চিম হিমালয়ের পাদদেশে জন্মানো একধরনের বার্চ প্রজাতির গাছ। যার জন্ম ও বেড়ে ওঠা হিমালয়ের পাদদেশে, সমুদ্র পীষ্ঠ থেকে প্রায় 4,500 মিটার (14,800 ফুট) উচ্চতায়। বহু শাখায় বিস্তৃত এই গাছ। এই গাছের উচ্চতা প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ মিটার পর্যন্ত লম্বা হয়। উত্তরা খন্ডের গঙ্গোত্রী যাওয়ার পথে, গঙ্গোত্রী থেকে প্রায় ১৪ কিলোমিটার আগে ভোজ বাসা নামে একটি স্থান আছে, যা ভোজ বৃক্ষের জন্য বিখ্যাত। এখানে ভোজ বৃক্ষের বিশাল বনাঞ্চল। আমাদের দেশের প্রেক্ষাপ...
আমাদের জীবনে বেঁচে থাকার জন্য তিনটি শর্ত গুরুত্বপূর্ণ। খাদ্য, বস্ত্র, ও বাসস্থান। বাসস্থান কেই আমরা প্রধানতঃ বাড়ি বা বাস্তু বলে থাকি। আপনার বাড়ি যদি বাস্তু শাস্ত্রের বিপরীত হয়, অর্থাৎ আপনার বাস্তু যদি দোষ যুক্ত হয়, তাহলে অবশ্যই যদি সম্ভব হয়, তাহলে শীঘ্রই আপনার বাস্তুকে দোষ মুক্ত করুন। এমন অনেক সময়ে দেখা গেছে যে, কোন বাড়িতে ভূল বশতঃ এমন কিছু বাস্তু দোষ রয়েছে, যে চাইলেও সেই দোষ থেকে মুক্ত হওয়া অত সহজ নয়। যেমন ধরুন, আপনি বাড়ি তৈরি করার সময়ে আপনি আপনার শৌচাগার ভূল বশতঃ ঈশান ( উত্তর - পূর্ব ) কোণে তৈরি করে ফেলেছেন! এটা কিন্তু খুব বড় একটা ভুল হয়ে গেছে। আপনি চাইলেও এখন আর এই ভুল শোধরাতে পারবেন না। তবে সমস্যা যখন তৈরী হয়, তার সমাধানও নিশ্চয়ই থাকে। তবে এই বিষয়ের ওপর পরে অন্য কোনো সময়ে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করবো। আপনার বাস্তু এই রকম দোষ যুক্ত হওয়ার কারণে, আপনার বাড়িতে প্রতিনিয়ত নেগেটিভ শক্তি তৈরী হয়। যার ফলে আপনার ব্যক্তিগত জীবনে আপনাকে প্রতিনিয়ত অনেক প্রতিকূলতার মুখে পড়তে হয়। এই নেগেটিভ শক্তি কে ব্যহত করতে, আর পজেটিভ শক্তির বৃদ্ধি ঘটাতে আমি বিগত বেশ কয়েকটি প্রতিবেদনে ক...
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন