কোভিড ভ্যাকসিন নেওয়ার পর একাদশ শ্রেণীর ছাত্রী অনুষ্কার মৃত্যু......!

Anushka-Dey-অনুষ্কা-দে-dead-Covid-Vaccine
অনুষ্কা দে


কোভিড ভ্যাকসিন নেওয়ার পর একাদশ শ্রেণীর ছাত্রী অনুষ্কার মৃত্যু......!

চুঁচুড়া: একদিকে যখন দেশে করোনা প্রতিরোধে একমাত্র প্রধান হাতিয়ার হিসেবে বারবার ভ্যাকসিনের কথা বলা হচ্ছে, তখন গত সোমবারের এই ঘটনা রীতিমত নাড়িয়ে দিয়েছে সকলকে। টীকা নিয়েই অকালে ঝরে গেল বছর ১৮র তরতাজা একটি প্রাণ ! প্রশাসনের নির্দেশে কিছু দিন আগেই স্কুলে স্কুলে শুরু হয়েছে ভ্যাকসিনেশন। তাই  কিছু দিন আগেই স্কুল থেকে ভ্যাকসিন নিয়েছিলেন ঐ ছাত্রী । ভ্যাকসিন নেওয়ার পর স্বাভাবিক ভাবেই তার জ্বর আসে । জ্বর আসার পর তাকে প্যারাসিটামল ট্যাবলেট দেওয়া হয়।  সাময়িক ভাবে জ্বর ঠিক হয়ে গেলেও বিপদ যে তখনও কাটেনি তা বুঝতেই পারেনি তার পরিবার। পরে শরীর আরও খারাপ হলে পরিবারের তরফ থেকে চুঁচুড়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর শেষ সব কিছু। অকালেই মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়ল একটি তরতাজা প্রাণ। মৃতা ছাত্রীর নাম অনুষ্কা দে ( ১৮ ), চুঁচুড়া বালিকা শিক্ষা মন্দিরের একাদশ শ্রেণীর ছাত্রী সে। 


করোনার ভ্যাকসিনের কারনে মৃত্যু যে দেশে এটাই যে প্রথম এমনটা নয়, এর আগেও ভ্যাকসিনেশনের কারণে একাধিক মৃত্যুর খবর আমাদের কাছে এসেছে। কিন্তু সরকারিভাবে তা প্রমাণ সাপেক্ষে। আরও ভালো করে বললে বলা যেতে পারে, এমন মৃত্যুর ক্ষেত্রে প্রতিবারই করোনার ভ্যাকসিন কে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে প্রশাসনের নির্দেশে। কিন্তু কেনো ? এর কারণ আমাদের কাছে এখনও স্পষ্ট নয়। দিকে দিকে যখন বলা হচ্ছে করোনার বিরুদ্ধে একমাত্র লড়াইয়ের হাতিয়ার ভ্যাকসিন, তখন এমন অপ্রত্যাশিত মৃত্যু আবারও ভ্যাকসিনের প্রকৃত কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিল। 


কিছু দিন আগেই আমাদের রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন ভ্যাকসিনের ডবল ডোজ নিয়ে। কারণ সার্ভে করে দেখা গেছে যে, বর্তমানে ভ্যাকসিনের ডবল ডোজ নেওয়া ব্যাক্তিরাই অধিক মাত্রায় করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে আক্রান্ত। তার পরেও অজানা কোনো অজ্ঞাত কারণে সেই প্রশাসনের নির্দেশেই ডবল ডোজ ভ্যাকসিনেশন চলছে।


মৃতা ছাত্রীর পিতা সুব্রত দের বক্তব্য অনুযায়ী  গত ৯ জানুয়ারি (  ৯ । ০১। ২০২০ ) স্কুল থেকে করোনার টিকা নেয় অনুষ্কা। ভ্যাকসিন নেওয়ার কিছুক্ষণ পরই জ্বর আসে তাঁর।  সেই কারণে প্যারাসিটামল খায় অনুষ্কা। পরের দু’দিন আর কোনও জ্বর আসেনি। তবে জ্বর কমলেও এরপর শুরু হয় শরীরে অসহ্য জ্বালা যন্ত্রণা। বারংবার ষন্ত্রণা হওয়ায় সেই স্থানে বরফ লাগিয়ে দেন অনুষ্কার বাবা সুব্রত দে। কিন্তু তারপরও কমেনি কোনো ব্যাথা যন্ত্রণা। এরপর মেয়ের শরীর ধীরে-ধীরে দুর্বল হয়ে নেতিয়ে পড়তে শুরু করে, সেই সঙ্গে চলতে থাকে অসহ্য মাথার যন্ত্রণা। গত রবিবার ( ২৩ । ০১ । ২০২০ ) সন্ধেয় শরীর পুরো নেতিয়ে পড়ায় আর ঝুঁকি নেয়নি পরিবার। সোজা চুঁচুড়া ইমামবাড়া সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে।


এরপর ২৪শে জানুয়ারি সোমবার ভোর সোয়া তিনটে নাগাদ মৃত্যু হয় তার মেয়ের। পরিবারের দাবি  ভ্যাকসিন নেওয়ার কারণেই তাদের মেয়ের মৃত্যু ঘটেছে। পরিবারের দাবি অনুযায়ী তাদের মেয়ের মৃত্যুর আগে অন্য কোনও অসুস্থতা ছিল না। 



অনুষ্কার বাবা সুব্রত দে আরও বলেন, তার মেয়ে “গত ৯ তারিখ স্কুল থেকে ভ্যাকসিন নিয়েছিল। কিন্তু আমার মনে হয় ওকে যে ভ্যাকসিনটা দেওয়া হয়েছিল সেটা ভালো ছিল না। টিকা নেওয়ার পর থেকেই মেয়ে ভিন্ন ভিন্ন সময় ভিন্ন ভিন্ন রকম কথা বলেছে। কখনও শরীরে ব্যাথা, কখনও মাথাব্যাথা হচ্ছে। জ্বর আসার পর খাওয়া-দাওয়াও বন্ধ হয়েছে গিয়েছিল। জ্বর আসায় ও প্যারাসিটামল খেয়েছিল। কিন্তু ধীরে-ধীরে ওর শরীর যখন দুর্বল হতে শুরু করে তখন আমরা হাসপাতালে ভর্তি করি। ডাক্তারের দেওয়া বিভিন্ন রকমের টেস্ট করা হয়। এরপর আজ হঠাৎ করে শুনি মেয়ে আমার নেই!”


এদিকে,ঘটনার পুরো বিষয়ে হুগলি জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারীক রমা ভুঁইয়া জানিয়েছেন, “ভ্যাকসিন নিয়ে শরীর খারাপ হয়েছে এই ঘটনা বিরল। কারণ ভ্যাকসিন নিয়ে শরীর খারাপ হলে তা প্যারাসিটামল নিলেই ঠিক হয়ে যায়। আমরা খবর নিয়েছি ওই স্কুলে আরও যে সকল বাচ্চাদের ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছিল তারা প্রত্যেকেই সুস্থ রয়েছে। এই ছাত্রীর ক্ষেত্রে কেন এমনটা হল তা খোঁজ নিয়ে দেখতে হবে।” 


প্রশাসনের তরফে স্বাস্থ আধিকারীক, বা ডাক্তার বা সংশ্লিষ্ট সংবাদ মাধ্যম ভ্যাকসিনের পক্ষ নিয়ে যে যাই বলুক না কেন, আপনার নিজস্ব বুদ্ধিমত্তা বিচার বিবেচনার দ্বারাই নিজেকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। মনে রাখবেন সমাজের চতুর্থ স্তম্ভ আজ পঙ্গু..............!

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

ভোজ্য পত্র কি ? আসল ও নকল ভোজ্য পত্র চিনবেন কিভাবে ?

বারো মুখী রুদ্রাক্ষের উপকারিতা ও ব্যবহার বিধি !

স্বপ্ন দোষ ? কালসর্প দোষ ? বশীকরণ বা কর্মে সাফল্য চান? তাহলে জানুন ময়ুর পালকের কিছু অসামান্য গুনাগুন!