ব্রিগেডের পাল্টা গীতা পাঠের আসর এবার দীঘায়..!
ব্রিগেডের পাল্টা গীতা পাঠের আসর এবার দীঘায়..!
আগামী বছর ২০২৪ এর জানুয়ারিতেই ( সম্ভাব্য তারিখ ২২ শে জানুয়ারি ) উদ্বোধন হতে চলেছে বহু প্রতীক্ষিত অযোধ্যার রাম মন্দিরের। এর পরেই এপ্রিল-মে মাসে লোকসভার ভোট। রাজনৈতিক সমালোচকদের মতে এবার রাম মন্দিরই কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের প্রধান ইস্যু। তবে ইতিমধ্যেই দেশের ছোট বড় সমস্ত রাজনৈতিক দল নিজেদের মতো করে ভোটের ময়দানে নেমে পড়েছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে বিজেপির প্রধান হাতিয়ার হিন্দুত্ব। আর সেই হিন্দুত্ব কে হাতিয়ার করেই গত ২৪ শে ডিসেম্বর রবিবার ২০২৩ ব্রিগেডে পালিত হলো লক্ষ কন্ঠে গীতা পাঠ। তবে উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী না এলেও এ নিয়ে কোনো দ্বিমত নেই যে, বিজেপি নিজের দিকে রাজ্যের একটি বড় অংশের মানুষের নজর ঘোরাতে ইতিমধ্যেই সক্ষম হয়েছে। তাই এই নিয়ে চলছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের চাপান উতোর। তবে এবার ব্রিগেডের পালটা হতে চলেছে দিঘা। আপনারা জানেন যে আমাদের রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায় পুরীর আদলে দীঘার সমুদ্র সৈকতে তৈরি হচ্ছে জগন্নাথ মন্দির ।
মন্দির নির্মাণের ঘোষণা ২০১৮ সালে করা হয়েছিল এবং নির্মাণ কাজ ২০২২ শে শুরু হয়েছিল, বর্তমানে মন্দিরটি এখনও নির্মাণাধীন রয়েছে। তবে আশা করা যায় এটি ২০২৪ সালের মার্চ মাস নাগাদ সম্পন্ন হবে। এবং এপ্রিল মাস নাগাদ এই মন্দিরের উদ্বোধন হবে। তাই সেই উপলক্ষে অর্থাৎ জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সূচনায় গীতাপাঠের আয়োজন করা হবে দিঘায়, যা জানালেন রাজ্যের মন্ত্রী অখিল গিরি। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই চাপানউতোর চলছে বিভিন্ন রাজনৈতিক মহলে।
গত ২৪ ডিসেম্বর কোলকাতার ব্রিগেডে লক্ষ কন্ঠে গীতাপাঠের আয়োজন করেছিল বিজেপি। আবার নতুন বছরে সমুদ্র সৈকতে জগন্নাথ দেবের মন্দির উদ্বোধনের দিন শ্রীমদ্ভগবদগীতা পাঠের আয়োজন করা হবে বলে জানালেন রাজ্যের মন্ত্রী অখিল গিরি। জেলার সমস্ত ব্রাহ্মণদের নিয়ে এই গীতাপাঠের আয়োজন করা হবে বলে তিনি জানান। সংখ্যা টা ১০ হাজার । অখিল গিরি দীঘায় গীতাপাঠের কথা বলার পরই বিজেপি শিবিরের দিক থেকে কটাক্ষ ধেয়ে আসতে শুরু করেছে।
প্রসঙ্গত, গত রবিবার অর্থাৎ ২৪শে ডিসেম্বর সকাল ১০টায় কোলকাতার ব্রিগেডে ( Brigade ) শুরু হয় অনুষ্ঠান। মোট ২০টি আলাদা ভাগে ব্রিগেডকে ভাগ করা হয়। প্রতিটি ভাগে পাঁচ হাজার মানুষের জন্য গীতাপাঠের ব্যবস্থা করা হয়। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ ব্রিগেডে ভিড় জমান। এই অনুষ্ঠান আয়োজনের দায়িত্বে ছিল সনাতন সংস্কৃতি পরিষদ, মতিলাল ভারততীর্থ সেবা মিশন আশ্রম এবং অখিল ভারতীয় সংস্কৃত পরিষদের একাধিক সংগঠন। কিন্তু অপ্রত্যক্ষ ভাবে এই গীতাপাঠের মুল হোতা বঙ্গ বিজেপি। বাংলার বিজেপির শীর্ষ নেতাদেরও এদিন ব্রিগেডের মাঠে গীতা পড়তে দেখা গিয়েছে।গীতাপাঠের আসরে নিরাপত্তা নিয়েও সতর্ক ছিল প্রশাসন। দু’জন ডেপুটি কমিশনার, ও দু’জন এসি -সহ মোট ১৭৭ জন পুলিশ কর্মী নিয়োজিত রাখা হয়েছিল।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন