নাহঃ আর চুপ করে থাকতে পারলাম না। বিবেকের কাছে অপরাধ বোধে আত্মগ্লানি তে ভুগছিলাম। অবশেষে দীর্ঘ সাত মাস পর মৌনতা ত্যাগ করে আপনাদের সামনে তুলে ধরছি সেদিন ঘটে যাওয়া একটি সত্য ঘটনা। কারণ দুজন দুষ্কৃতী কে আমি ইতিমধ্যেই চিহ্নিত করতে পেরেছি! সম্পূর্ণ লেখাটি অবশ্যই মন দিয়ে পড়ুন, এবং বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন এবং সতর্ক থাকুন। কে বলতে পারে আগামী দিনে হয়তো এমন অপ্রত্যাশিত ঘটনা আপনার সাথে ঘটতে পারে।
বিশেষ দ্রষ্টব্য ঃ নিচে ঘটনার সাথে জড়িত প্রধান দুই দুষ্কৃতী বিকি রায় ওরফে বিকি মাল ও বিট্টু দাসের ছবি ও পরিচিতি ও ফেসবুক লিংক দিয়ে দিলাম। হয়তো ফেস বুকে এই ক্রিমিনাল গুলোকে আপনি বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করেছেন। #
#Biki Roy👇👇
https://www.facebook.com/profile.php?id=100049852982449
#Bittu Das 👇👇
https://www.facebook.com/profile.php?id=100031183841217
https://www.facebook.com/profile.php?id=100010740390891
বাড়ির সামনে নিত্য মদের আসর, প্রতিবাদ করায় হামলার শিকার প্রতিবাদকারী ও তাঁর পরিবার.....! এই রকম নিউজ আমরা প্রায়শই দেখে থাকি বিভিন্ন চ্যানেল ও সংবাদ মাধ্যমে। আজ আমি আপনাদের বলবো আমার সাথে ঘটে যাওয়া এমনই এক ঘটনা। ঘটনার সময় ১৯ শে জুলাই২০২০। রাত বারোটার পর অর্থাৎ ২০শে জুলাই ২০২০। পুরো ঘটনার বিবরণ তুলে ধরে চুঁচুড়া থানায় একদিন পর F.I.R করা হয়। F.I.R এ জানানো ঘটনার বিবরণ আমি আপনাদের সামনে পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে তুলে ধরছি।
ভিডিও টি দেখুন!
আমি নিত্যানন্দ ধর, আমার পিতা প্রদীপ ধর, চুঁচুড়া থানার অন্তর্গত বসন্ত বাগানের বাসিন্দা। আমার বাড়ির প্রধান গেটের একদম পাশেই দীর্ঘদিন ধরে একটি জনহীন পরিত্যক্ত বাড়ি রয়েছে। দীর্ঘদিন যাবত আমার পরিবার এই নিয়ে একটি সমস্যা আছি। সমস্যাটি দিন দিন গুরুতর হয়েই চলেছে। যার অন্তিম ও চুরান্ত পরিণাম ঘটে গত ১৯ শে জুলাই ২০২০ রাত ১২.০০ থেকে ১২:৩০( সাড়ে বারোটা) মিনিটে। অর্থাৎ ২০ শে জুলাই ২০২০। প্রায় প্রতিদিনই এলাকার কিছু ছেলে ( যাদের দলের প্রধান মাথা ''চোখ ট্যারা পাগলা সন্টু" ! আর চোলাই ও পাতা খোর জুয়ারী ''তোতন ব্যাপারী" , যারা আমার পাড়াতেই থাকে ) প্রতিদিন ঐ পরিত্যক্ত বাড়ির সামনে এসে সকাল থেকে আড্ডা জমায়েত করে। প্রথম দিকে আমরা ব্যাপারটাকে অতটা গুরত্ব দিইনি, কিন্তু কিছু দিন এই ভাবে চলার পর ব্যাপার টা অ-সহ্য পর্যায়ে চলে গেল। শুধু এলাকার ছেলে নয়, সন্ধ্যার পর এদের সাথে অন্য এলাকার কিছু অপরিচিত ছেলেরাও যোগ দেয়। আর এই আড্ডা কোনো কোনো দিন মধ্য রাত পর্যন্ত চলে। চলে মদ - গাঁজার আসর। তার সঙ্গে চলে তারস্বরে চিৎকার চেঁচামেচি, মা মাসি, বাবা সম্পর্কিত দুই-চার অক্ষরের বিভিন্ন ধরনের গালি গালাজ। এর ফলে আমাদের পারিপার্শ্বিক প্রতিনিয়ত কলুষিত হচ্ছে, ও রাত্রিরে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটছে। এই নিয়ে আমরা বেশ কয়েকবার প্রতিবাদ জানিয়ে ছিলাম, এবং স্থানীয় এলাকার ক্লাবকেও জানিয়ে ছিলাম। কিন্তু এতে কোনো ফল হয়নি। কিন্তু গত ১৯ শে জুলাই ২০২০, রাত ১২ টার পর ঘটে অভাবনীয় ঘটনা! অপরাধের চরম সীমা ছাড়িয়ে যায়। প্রতিবাদ করায় কিছু দুর্বৃত্ত, যদিও তারা সংখ্যায় মোট চারজন। এদের নাম হলো '' বিকি রায় " ওরফে বিকি মাল (বাড়ি চুঁচুড়া স্টেশন রোড পল্লীশ্রী তে । বাবার নাম টিংকা মাল, খাদিনা মোড় গ্রেট ইস্টার্ন শোরুমের একদম পাশে পরঠা ভাজার দোকান ), '' বিট্টু দাস " (বাড়ি বসন্ত বাগান, সুবোধ দাসের নাতি, বাবার পরিচয় ******। "সঞ্জয়" ( বাড়ি রবীন্দ্র নগর বাবার পরিচয় *******) তোতন ব্যাপারী (বাড়ি বসন্ত বাগান, বাবা তপন ব্যাপারী নিরুদ্দেশ)। এই চারজন দুষ্কৃতী আমার বাড়ির বন্ধ লোহার গেটের তালা ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করে, তারপর চলে উভয় পক্ষের হাতাহাতি, ধস্তাধস্তি। দুর্বৃত্ত দের হাতের প্রধান অস্ত্র ছিল লোহার রড, মদের বোতল, ও বাঁশের টুকরো। দুর্বৃত্ত দের অস্ত্রের আঘাতে আমার বোন, আমার ভাই, ও আমি আঘাত প্রাপ্ত হই। বোনের আঘাত গুরুতর না হলেও আমার ও ভাইয়ের মাথা ফেটে যায়। যার মধ্যে ভাইয়ের আঘাত অধিক গুরুতর! সেদিন রাত্রি বেলায় চুঁচুড়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, এবং মাথায় তিনটি সেলাই পড়ে। সাত মাস পর আমার এই আর্টিকেল টি লেখার একটাই কারণ, দুষ্কৃতী দের ভালো করে চিনে রাখুন,আজ আমার সাথে যা হয়েছে, আগামী দিনে তা যেন আপনাদের সাথে না হয়! কারণ হয়ত দেখা যাবে এই ধরনের দুষ্কৃতীরা আপনার জ্ঞাতার্থে আপনারই বাড়ির সামনে আড্ডা জমায়েত শুরু করে দিয়েছে। তাই এখনই সতর্ক হোন। এরা জঙ্গলী জানোয়ারের থেকে ভয়ানক! তাই এটা মাথায় রাখুন, যদি কখনো আক্রান্ত হন, তাহলে জঙ্গলী জানোয়ারের সঙ্গে মানুষের মতো ব্যবহার করা কোনো বুদ্ধি মানের কাজ নয়।










কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন