আপনার সন্তানের জন্য সরস্বতী পূজার দিন এই বিশেষ কাজ টি অবশ্যই করুন !

আপনার সন্তানের জন্য এই বিশেষ কাজ টি সরস্বতী পূজার দিন করুন। অনেক মা বাবারই অভিযোগ থাকে তার সন্তান ঠিক মতো  পড়াশোনা করছে না। অর্থাৎ পড়াশুনায় অমনোযোগী। 

ঠিক এই রকম যেকোনো সাইজের একটি গোল্ড প্লেটেড মা সরস্বতীর যন্ত্রম সংগ্রহ করুন। এই যন্ত্রম সাধারণত তামার তৈরী, এবং তার ওপরে গোল্ড প্লেটিং করা হয়। সরস্বতী যন্ত্রম সাধারণত দুই ধরনের হয় সরস্বতী যন্ত্রম ও নীল সরস্বতী যন্ত্রম। তবে শুধু সরস্বতী যন্ত্রমের থেকে  নীল সরস্বতী যন্ত্রম নেওয়াই যুক্তি সংগত। কারণ এই নীল সরস্বতী যন্ত্রমেই নিহীত আছে ত্রিগুনময়ী মা আদি শক্তির সম্পূর্ণ বীজ মন্ত্র! তবে একান্তই যদি নীল সরস্বতী যন্ত্রম সংগ্রহ না করতে পারেন, তাহলে সরস্বতী বিদ্যাদায়ক বা মা সরস্বতী সম্পর্কিত যেকোন ধরনের একটি যন্ত্রম সংগ্রহ করুন, আর মা সরস্বতীর চতুর্ভুজ রূপের একটি ছবি সংগ্রহ করুন। দেখবেন এই ছবিতে মা সরস্বতী শ্বেত শুভ্র বস্ত্র পরিহিতা , চতুর্ভুজা দেবী, তার চতুর্ভূজায় বীণা, অক্ষর মালা, ও চতুর-বেদ শোভা পায়! নীল কন্ঠী ময়ুর সহ হংস তার বাহন। হাঁস ছাড়াও সাথে নীল কন্ঠী ময়ুর  রয়েছে। মায়ের সাথে নীলকন্ঠী ময়ুর থাকার কারণে , মায়ের এই রূপ কে নীল সরস্বতী বলে। 

এই যন্ত্রম (এখানে উল্লেখ্য যেকোনো যন্ত্রম) সাধারণত চার প্রকারের হয়। যথা স্বর্ণ পত্র, রৌপ্য পত্র, তাম্র পত্র ও ভোজ্য পত্রের। এর মধ্যে যে কোনো যন্ত্রমই সংগ্রহ করতে পারেন। তবে তাম্র অর্থাৎ তামা সহজ লভ্য ও শুদ্ধ। এছাড়াও ভোজ্য পত্রের যন্ত্রমও বাজারে এখন সহজ লভ্য। প্রসঙ্গত এই নীল সরস্বতী যন্ত্রমে একত্রে ভগবতী মাতা সরস্বতীর ও তার শক্তি রূপের বীজ মন্ত্র নিহীত আছে। বিধি পূর্ণ ভাবে ব্রাহ্মণ পন্ডিত দ্বারা নাম গোত্র দিয়ে বিধি অনুযায়ী পূজা করিয়ে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করিয়ে নেবেন। বিশেষ শুভ দিন যেমন, মা সরস্বতীর পূজার দিন শুক্ল পঞ্চমী তিথিতে বা চৈত্র, বা আশ্বিন মাসের নব রাত্রির যে কোনো অষ্টমী নবমী বা অন্য যে কোনো শুভ মূহুর্তে যন্ত্রমে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করে নিতে হবে। 

যদি ভোজ্য পত্রে করতে চান, তাহলে খাগেড় কলম দ্বারা ভোজ্য পত্রের উল্লেখিত যন্ত্রের চিত্র, লাল চন্দনের দ্বারা অঙ্কিত করে পরিষ্কার শুদ্ধ শ্বেত বস্ত্রের ওপর স্থাপিত করুন।  তারপর বীজমন্ত্র সহযোগে যে কোনো ধাতব ( সোনা,  রূপা, তামা )। কবজে ভরে ধারণ করুন।বীজমন্ত্র টি হলো " ক্রীং হুং হ্রীং"।  শক্তি রূপে মা সরস্বতী কে প্রতিনিয়ত স্মরণ করতে এই বীজমন্ত্র টি ১০৮ টি রুদ্রাক্ষর দানার সহযোগে তৈরী মালার দ্বারা প্রতিদিন ১০৮ বার এই বীজমন্ত্র টি জপ করুন। এই যন্ত্রম টি প্রতি দিন নিত্য কাজের শুরু তে পূজা ও দর্শনে দেবী ভগবতী মাতা সরস্বতীর আশির্ব্বাদে জাতকের সকল প্রকার জ্ঞান, বিদ্যা, বুদ্ধি, প্রতিভা প্রাপ্তি হয়। এবং সেই জাতক বা ব্যক্তি সমাজে প্রভৃত প্রতিষ্ঠা লাভ করে। এবং তার সাথে ধন ও ঐশ্বর্য্য অর্থাৎ মা লক্ষ্মীর আশির্ব্বাদ প্রাপ্তি হয়। তার আর কোনো অভাব হয় না। সেই সঙ্গে আসন্ন সর্ব বিপদ থেকে মুক্তি, শত্রু ভয় থেকে মুক্তি, ধন সম্পদ বৃদ্ধি, সংসারে সুখ শান্তি বৃদ্ধি ও সর্ব সংকট থেকে মুক্তি!

এরপর যা করণীয়, বিশেষত আপনার সন্তানের জন্য!

আপনার সন্তানের যদি আলাদা পড়াশোনা করার রুম থাকে, তাহলে সেই ঘরের ঈশান কোণে, অর্থাৎ উত্তর পূর্ব কোণের দেওয়ালে একটি কাঠের তক্তা, বা সিমেন্ট দিয়ে একটা তাক নির্মাণ করুন। তারপর সেখানে মা সরস্বতীর মূর্তি বা ছবি ও যন্ত্রম সহ একটি পূজার আসন প্রতিষ্ঠা করুন।  এইটি সরস্বতী পূজার দিন থেকে করতে পারেন। বা পূজিত মুর্তি বা ফটো এনেও রাখতে পারেন। এরপর স্নান করে শুদ্ধ হয়ে সেই মুর্তির সামনে প্রতি দিন সকালে ও সন্ধ্যায় পড়াশোনা করার পূর্বে আপনার সন্তানের দ্বারা ধূপ-বাতি প্রজ্জ্বলিত করবেন। এর ফলে ধীরে ধীরে আপনার সন্তানের মধ্যে আধ্যাত্মিক চেতনা প্রকাশ পাবে। এবং মন শান্ত হবে।

মায়ের মুর্তির সামনে একটি দোঁয়াত রেখে দিন। সেই দোঁয়াতে অল্প পরিমাণ কাঁচা দুধ ও গঙ্গাজল মিশ্রিত করে রেখে দিন। এটা অবশ্যই মনে রাখবেন কিছু দিন অন্তর, অন্তর জল পালটে ফেলতে হবে। এর পর সেই দোয়াতের মধ্যে একটি ময়ুয়ের পালক রেখে দিন। এছাড়াও আপনার সন্তানের বই এর ব্যাগে, কোনো বই বা খাতার ভাঁজে একটি ময়ুয়ের পালক রেখে দিন। 

এছাড়াও আপনার সন্তানের জন্য একটি চার মুখী রুদ্রাক্ষ সাদা অথবা লাল সূতা দিয়ে ধারণ করা শুভ হবে। এবং এরপর দেখুন চমৎকার! জ্যোতিষী, তন্ত্র, বাস্তু, ও ফেংশুই  সমন্ধে আরও নানা রকম টিপস পেতে আমাদের ইউটিউব চ্যানেল (DHAR ARTS) টি সাবস্ক্রাইব করতে ভুলবেন না।