বাস্তু সমস্যার সমাধানে কর্পূরের গুরুত্ব ও উপযোগিতা!



লাগাতার আর্থিক সমস্যায় পড়ছেন ? কোনও না কোনওভাবে জমানো টাকা শেষ হয়ে যাচ্ছে ? এবার সমস্ত  টেনশন দূর করুন! 




আজ আমি বলবো কী কী উপায়ে কর্পূরকে কাজে লাগিয়ে আমরা আমাদের গৃহের সকল প্রকার বাস্তূ দোষ দুর  করতে পারি। এবং আমাদের দুর্ভাগ্য কে সৌভাগ্যতে পরিবর্তিত করতে পারি। 


হিন্দুদের ধর্ম মতে বিভিন্ন শাস্ত্রীয় পুজো পাঠে  কর্পূর হলো একটি বিশেষ উপাদান, কর্পূর ছাড়া শাস্ত্রীয়, বিধি পূজা পাঠ অসম্পূর্ণ। ঘরে ও শরীরের নেতিবাচক শক্তি দূর করার জন্য কর্পূর অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি ওষুধ বলেই মনে করা হয়। কিন্তু জানেন কি, এই এক টুকরো কর্পূর সম্পূর্ণ বদলে দিতে পারে আপনার জীবন! অভাব-অনটন-অশান্তি দূর করে জীবনের চলার পথ আরো মসৃণ হয়ে ওঠে!




 ১। অনেকেই মনে করেন যে, তাঁদের দেবদোষ বা পিতৃদোষ রয়েছে। এ ক্ষেত্রে সকাল, সন্ধ্যা ও রাতে ঘিয়ে ভেজানো কর্পূর জ্বালালে ও শৌচালয়ে ২টি কর্পূর রাখলে এই দোষ থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে।




২। বাস্তুশাস্ত্র মতে, অনেক চেষ্টাতেও হয়ত কাজ হচ্ছে না। ভাল সময় আসছে না। টাকা পয়সা জমছে না। এই অবস্থায় প্রতিদিন সন্ধ্যায় আপনার গৃহদেবতার সম্মুখে রূপোর পাত্রে (রূপোর বাটি বা প্রদীপ) নিয়মিত কর্পূর ও লবঙ্গের দ্বীপ প্রজ্জ্বলিত করুন।। এর ফলে গৃহের সমস্ত বাধা দূর হবে, এবং  যে কাজ আটকে রয়েছে তাও ভালভাবে হয়ে যেতে পারে। 


৩। ঘরে, ব্যবসায় বা কাজের জায়গায় কোনও বাস্তুদোষ থাকলে তাতে ক্ষতির মুখও দেখতে হয় অনেককে। সেই নেতিবাচক শক্তি দূর করতে কর্পূরের গুলি রাখতে পারেন একটি বাটি করে। 

এর ফলে যে শুধু নেতিবাচক শক্তিই চলে যাবে তা নয়, ধনলাভের সুযোগও বাড়তে পারে।


৪। কর্পূর পরিবেশও শুদ্ধ করে। বাড়িতে পুজো পাঠ চলার সময় কর্পূর অবশ্যই জ্বালান। এর গন্ধেই পরিবেশ পাল্টে যেতে পারে। কারণ কর্পূরের গন্ধে বাতাসে মজুদ ব্যাক্টেরিয়া মরে যায়। 


৫। আমরা অনেকেই বাড়িতে, গাড়ীতে, বা বাথরুমে এয়ার ফ্রেশনার ব্যবহার করে, এক্ষেত্রে বিকল্প হিসেবে আমরা কর্পূর ব্যবহার করতে পারি।



মশা তাড়াতে কর্পূরের ট্যাবলেট ঘরের কোনায় কোনায় ছড়িয়ে দিন।


৬। আপনার বাড়ির নেগেটিভ শক্তির মূল উৎস স্থল হলো টয়লেট! যদি সেটা সঠিক ভাবে বাস্তু অনুযায়ী না হয়ে থাকে, তাহলে তো কথাই নেই। এক্ষেত্রে আপনার যা করণীয়......  ছোট্ট একটি ঢাকনা ওয়ালা পাত্র বা কৌটা নিন, তাতে কয়েকটা ছিদ্র করুন, বা ছিদ্র ওয়ালা পাউডারের কৌটা নিতে পারেন। এমন পাত্রে,  রেখে দিন কয়েক টুকরো কর্পূর। প্রতি সপ্তাহে নিয়ম করে তা বদলে ফেলুন, এতে সৌভাগ্য ফিরে আসে। প্রতি মাসে রেখে দিন। তফাৎটা কয়েক মাসের মধ্যেই বুঝতে পারবেন।

 


৭। কর্পূরের গন্ধে মন ও মস্তিষ্ক দুটিই সতেজ থাকে। 



৮। গাঁটের ব্যথাতেও কর্পূর লাভদায়ক। এই বিষয়ে জানতে নিচে অবশ্যই কমেন্ট করুন।





৯। আমাদের মাথার যন্ত্রণা হলে, বা যদি অনিদ্রার সমস্য থাকে, তাহলে আমরা অনেকেই বাজারে চলতি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ঠান্ডা তেল ব্যবহার করে থাকি, এক্ষেত্রে বলবো আপনার ব্যবহৃত যেকোনো তেল বা নারকেল তেলের সঙ্গে, পরিমাণ মতো কর্পূর মিশিয়ে গরম করে, তারপর সেটিকে ঠান্ভা করে মাথায় মাখুন। এতে মাথার যন্ত্রণা কমে, মাথা ঠান্ডা থাকে ও ঘুম আসতে সাহায্য করে।   




১১। কালো ও মজবুত চুলের জন্যও এই কর্পূর তেল ভীষণ উপকারি। মাথার তেলে কর্পূর মিশিয়ে মাখলে রক্তপ্রবাহ বাড়ে ও চুল মজবুত হয়। কর্পূরের তেল কয়েক ফোঁটা বালিশে ফেলে ঘুমোতে যেতে পারেন।

২। সর্দিতে নাক বন্ধ থাকলে, শ্বাসকষ্ট হলে, হাঁচি হলে কর্পূরের সাহায্যে এগুলির সমাধান করা যেতে পারে। গরম জলে কর্পূর ঢেলে তার ভাপ নিলে আরাম পাবেন। 


১৩। দাদ, হাজা বা চুলকানি থেকে রেহাই পেতেও কর্পূর ওষুধের কাজ করতে পারে। কর্পূরের গুলি ত্বকে লাগালে কমতে পারে চুলকানি বা বিভিন্ন চর্ম রোগ।


১৪। জ্যোতিষশাস্ত্র অনুযায়ী, যদি আপনার আয়ের তুলনায় ব্যায় বেশি হয়, তাহলে গোলাপ ফুলে কর্পূরের টুকরো রাখতে পারেন ও কর্পূর জ্বালিয়ে মা দুর্গার কাছে অর্পণ করতে পারেন। লাভ মিলতে পারে কম-আয়-বেশি-খরচের সমস্যা থেকে।


১৫। যদি মনে করেন বাজে খরচ অত্যাধিক বেড়ে গেছে! তাহলে প্রতিদিন সূর্যাস্তের সময় গৃহ দেবতার সামনে কর্পূরের প্রদীপ জ্বালান এবং সেটি গৃহের প্রতিটি ঘরে ঘোরান। এতে সমস্যার সমাধান তো হবেই, এছাড়া রাহু-কেতুর সমস্যা থেকেও মুক্তি পাবেন। 



১৬। ভাগ্য ফেরাতে স্নানের সময় কর্পূরের তেল কয়েক ফোঁটা জলে ফেলে স্নান করা যেতে পারে। এর ফলে শরীর থেকে নেতিবাচক শক্তি দূর হয়। 

 


মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

বারো মুখী রুদ্রাক্ষের উপকারিতা ও ব্যবহার বিধি !

ভোজ্য পত্র কি ? আসল ও নকল ভোজ্য পত্র চিনবেন কিভাবে ?

স্বপ্ন দোষ ? কালসর্প দোষ ? বশীকরণ বা কর্মে সাফল্য চান? তাহলে জানুন ময়ুর পালকের কিছু অসামান্য গুনাগুন!