গৌরী শঙ্কর রুদ্রাক্ষের উপকারিতা ও ব্যবহার বিধি !
গৌরী শঙ্কর রুদ্রাক্ষের উপকারিতা ও ব্যবহার বিধি!
প্রথমেই বলবো রুদ্রাক্ষ মাত্রই অলৌকিক! ভালো মানের গৌরী শঙ্কর রুদ্রাক্ষ একটু দুর্লভ । তবে পাওয়া যায় না, এমন টা কিন্তু নয়। আমরা জানি ১ থেকে ২১ মুখী রুদ্রাক্ষ সাধারণত বাজারে পাওয়া যায়। তবে এর মধ্যে গৌরী শঙ্কর রুদ্রাক্ষ সম্পূর্ণ আলাদা বা ভিন্ন। যদিও অন্যান্য রুদ্রাক্ষের মতো এতেও একাধিক শিরা বা মুখ থাকে। এটি দেখতে একটি রুদ্রাক্ষের সাথে অন্য আরেকটি রুদ্রাক্ষ জন্মগত জোড়া লাগানো। যেমনটা আপনারা হয়তো কখনো দেখে থাকবেন জোড়া কলা বা জমজ কলা, অনেকটা ঐ প্রকৃতির। এই যে ছবিতে দেওয়া যেমন রুদ্রাক্ষ দেখছেন, এই টি হলো একদম খাঁটি গৌরী শঙ্কর রুদ্রাক্ষ। এই বিষয়ে বিশদে জানতে আমার what's app ( 9831288159 ) নাম্বরে যোগাযোগ করতে পারেন, বা কমেন্ট করতে পারেন।
এই রুদ্রাক্ষের উপকারিতা !
এই রুদ্রাক্ষ ভগবান শিব ও দেবী মাতা পার্বতী উভয়ের একত্রিত স্বরূপ। এই রুদ্রাক্ষ ধারণকারী সর্বদা ভগবান শিব ও দেবী মাতা পার্বতীর উভয়ের আশীর্বাদকে একত্রিত লাভ করে থাকেন। কারণ এটি শিব এবং শক্তির উভয়ের প্রতিনিধিত্ব করে। মহিলা বা পুরুষ যে কেউ এই রুদ্রাক্ষ ধারণ করতে পারেন। যাদের দাম্পত্য জীবনে অশান্তি চরম পর্যায়ে, অর্থাৎ স্বামী স্ত্রীর মধ্যে কোনো রকম বনিবনা নেই। একজন অপর জনের মুখ দেখাও পছন্দ করছেন না, তাদের জন্য এই রুদ্রাক্ষ বিশেষ ফলদায়ক।
এতে স্বামী-স্ত্রীর ভিতর যে ভুল বোঝাবুঝি থাকে শীঘ্রই তার অবসান হবে । যার ফলে স্বামী স্ত্রী আবার আগের মত তাদের সুখী দাম্পত্য জীবন পুনরায় ফিরে পেতে পারে। বৈবাহিক জীবনে শারীরিক সমস্যাযুক্ত ব্যক্তিদের জন্যও এই রুদ্রাক্ষ খুবই উপকারী।
অন্যদিকে এটি মানসিক শান্তিও প্রদান করে এবং ধাতু দুর্বলতার মতো অন্যান্য শারীরিক সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। সন্তান হীন দম্পতিরা, এই রুদ্রাক্ষ ধারণের পর সন্তান লাভ করতে পারে।
প্রেম ঘটিত সমস্যার ক্ষেত্রেও প্রেমিক বা প্রেমিকা উভয়েই এই রুদ্রাক্ষ ধারণ করে সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। যাঁদের জন্মছকে দেবগুরু বৃহস্পতির কারণে কোনও সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে, অথবা যাদের বৃহস্পতি কুপিত রয়েছেন, অর্থাৎ সোজা কথায় বলতে গেলে যাদের বৃহস্পতির দশা চলছে, তাঁরা এই রুদ্রাক্ষ ধারণে অবশ্যই সুফল পাবেন। কথায় আছে সংসার সুখের হয় রমণীর গুণে! তাই মহিলারা পূর্ণ ভক্তি নিয়ে এই গৌরীশঙ্কর রুদ্রাক্ষের পূজা পাঠ করতে পারলে সংসারে মা লক্ষ্মী সর্বদা অচলা থাকেন এবং সংসার সুখের হয়ে ধনসম্পদ পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে।
এছাড়াও এই রুদ্রাক্ষ ধারণে সমস্ত রকম বিবাহ বাঁধা বা যেকোনো বাঁধা, ভবিষ্যতের পেশাগত জীবনে এবং চাকুরী ও ব্যবসার মত অন্যান্য ক্ষেত্রেও বিশেষ ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। এই রুদ্রাক্ষ ধারণকারীর পরিবারে সুখ শান্তি ও সমৃদ্ধি বয়ে নিয়ে আসে।
রুদ্রাক্ষ ধারণ করার শুভ দিন!
এমনিতেই যেকোনো রুদ্রাক্ষ ধারণ করার শুভ দিন হলো সোমবার। এছাড়াও সবথেকে ভালো দিন হলো, ভগবান শিবের বিশেষ দিন। যেমন শ্রাবন মাসের শিবরাত্রি ও ফাল্গুন মাসের শিবরাত্রি অর্থাৎ শিব চতুদর্শীর সময়।
এই রুদ্রাক্ষের শোধন প্রক্রিয়া :
শোধন প্রক্রিয়া শুরু করার পূর্বে যা করতে হবে তাহলো, পূজা স্থলে ঈশান কোণে অর্থাৎ উত্তর-পূর্ব দিক অথবা পূর্ব দিকে মুখে করে বসতে হবে। প্রথমে ভালো করে রুদ্রাক্ষটিতে চন্দনের প্রলেপ লাগিয়ে দিতে হবে, তারপর একটি তামার পাত্রে বা পাথর বাটিতে দুধ মিশ্রিত গঙ্গাজলে রুদ্রাক্ষটিকে ভালো করে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে। এই ভাবে পরিষ্কার করার পর রুদ্রাক্ষটি শিব পার্বতীর ছবি বা মূর্তির সামনে একটি পরিষ্কার কাপড়ের ওপর রাখুন। কারণ এমনটা বিশ্বাস করা হয়ে থাকে যে, দেবাদিদেব মহাদেবের নয়ন অশ্রূ থেকেই নাকি রুদ্রাক্ষের জন্ম হয়েছিল। অর্থাৎ রুদ্রাক্ষ ভগবান শিবের প্রতিক বা অংশ বিশেষ। তাই যেকোন রুদ্রাক্ষের পুজো করা উচিত সর্বদা হবে ভগবান শিবের সামনে এবং শিব জ্ঞানে। প্রসঙ্গত, এক্ষেত্রে আরেকটা জিনিস মাথায় রাখা একান্ত প্রয়োজন। তা হল, রুদ্রাক্ষটি রাখতে হবে পরিষ্কার একটি কাপড়ের উপরে। তারপর জল, দই, দুধ, মধু এবং ঘিয়ের সাহায্যে শিব ঠাকুরের মূর্তি এবং রুদ্রাক্ষটি ভাল করে একসাথে স্নান করাতে হবে। এরপর ধুপ-ধূনো জ্বেলে পাঠ করতে হবে “ওম নম শিবায়” মন্ত্রটি। আর সব শেষে রুদ্রাক্ষের প্রকৃতি অনুসারে মন্ত্র জপ করে শেষ করতে হবে পুজো।
এর মন্ত্রটি হলো -
। ॐ গৌরী শঙ্করায়ে নমः।
। ॐ শিব শক্তি রুদ্রাক্ষয় নয় :।
এই মন্ত্র টি জপ করে এই রুদ্রাক্ষ ধারণ করতে হবে।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন