শনির দশা থেকে মুক্তি পেতে নৌকার পেরেকের ব্যবহার....!




নমস্কার আমি আমার সকল পাঠক বন্ধুদের আমার পেজে অনেক অনেক স্বাগত জানাই। আমার এই প্রতিবেদনে আলোচনার বিষয় হলো নৌকার পেঁড়েক। এই নৌকার পেঁড়েক কি? কেন ব্যবহার করবেন? কিভাবে ব্যবহার করবেন তাই নিয়েই আমার এই বিশেষ প্রতিবেদন।

আমি এর আগে ঘোড়ার নাল নিয়ে লিখেছি বা আমার ইউটিউব চ্যানেলেও এই বিষয়ে ভিডিও আপলোড করেছি । আমার ইউটিউব চ্যানেলের লিঙ্ক দিয়ে দিলাম।

                           👇👇👇👇

https://youtube.com/c/DHARARTS 


জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুযায়ী জ্যোতিষেরা শনির দশার জন্য নীলা ধারণ করতে বলেন, কিন্তু নীলার অর্থমূল্যের আধিক্যের জন্য অনেকে নীলা ধারণ করতে পারেন না, বিকল্পে তাদের জন্য ঘোড়ার নাল একটি ভালো উপায়, কালো ঘোড়ার নাল। কিন্তু অনেকে কালো ঘোড়ার নালও জোগাড় করে উঠতে পারেন না। তার বিকল্প কি? তার বিকল্প হলো নৌকার পেঁড়েক। এই নৌকার পেঁড়েক কেন, কিভাবে কাজ করে এবং এটির আংটি কিভাবে বানাবেন, অবশ্যই আমার ইউটিউব চ্যানেলে ভিডিও শিগগিরই আনছি, তবে এখন আলোচনা করবো, কিভাবে কাজ করবে এই নৌকার পেরেক।






এই নৌকা যখন চলে, তখন জলের তরঙ্গ অর্থাৎ ঢেউয়ের সাথে নৌকার প্রতিনিয়ত সংঘর্ষ হয়। সমস্ত প্রতিকুলতাকে পিছনে ফেলে নৌকা সামনের দিকে তার গন্তব্যের অভিমুখে এগিয়ে চলে। যার কারণে নৌকার মধ্যে একটি পজেটিভ শক্তির উদ্ভব হয়। কিন্তু এই পজেটিভ শক্তি আমরা কি,  নিজেদের মধ্যে আত্মস্থ করতে পারি? হ্যা অবশ্যই পারি। কিন্তু কিভাবে ? নৌকা তৈরিতে লাগে এমন দুটি প্রধান উপকরণ হলো কাঠ আর লোহা। এখানে বলে রাখি পদার্থ বিজ্ঞানের নিয়ম অনুযায়ী কাঠ কিন্তু তাপ ও বিদ্যুৎ পরিবহনে অক্ষম, অর্থাৎ কুপরিবাহী। আর লোহা তাপ ও বিদ্যুৎ পরিবহনে সক্ষম অর্থাৎ সুপরিবাহী।   নৌকা তৈরির সময় ব্যবহৃত কাঠের পাটাতন বা তক্তা গুলো সংযুক্তি করণের জন্য ব্যবহার করা হয় বড় বড় এই ধরনের লোহার পেরেক। যেমন ছবিতে দেখতে পাচ্ছেন। দীর্ঘ দিন ধরে একটি নৌকা চলাচলের ফলে নৌকার মধ্যে যে পজেটিভ শক্তির উদ্ভব হয়, তার কেন্দ্র বিন্দু হলো এই লোহার পেরেক গুলো। অর্থাৎ এই পেরেকের মধ্যেই সেই শক্তি স্থিত হয়। এই শক্তি নিজেদের মধ্যে আত্মস্থ করতে এর আংটি বানিয়ে ব্যবহার করতে পারেন, ছেলেরা ডান হাতের মধ্যমা ও মেয়েরা বাম হাতের মধ্যমা তে ধারণ করবেন। এই আংটি ব্যবহারের ফলে কর্মফল, ন্যায়দাতা শনি দেবের সকল প্রকার দশা, যেমন আড়াই, সাড়ে সাতি, ও মহাদশার দীর্ঘ মেয়াদীর কষ্ট অনেকাংশে লাঘব হবে। অর্থাৎ যেভাবে নৌকা জল তরঙ্গের বাধা কাটিয়ে সমস্ত প্রতিকুলতা কে পিছনে ফেলে সামনে গন্তব্যের অভিমুখে এগিয়ে চলে, ঠিক সেইভাবে শনিদেবের কৃপায় আপনি আপনার জীবন নৌকার সমস্ত বাধা কাটিয়ে ধৈর্য্য ধরে নিজ লক্ষ্যে অবিচল থেকে সঠিক অভিমুখে গন্তব্যের দিকে এগিয়ে যাবেন, এবং অন্তিমে সাফল্য অর্জন করবেন । 


এখন প্রশ্ন হলো কোথা থেকে কিভাবে এই নৌকার পেরেক সংগ্রহ করবেন ? অনেকের কাছেই এটি কালো ঘোড়ার নাল সংগ্রহ করার মতোই একটি দুরূহ ব্যাপার। দীর্ঘদিন ধরে একটা নৌকা চলার পর একটা সময় বাতিল বা ডেড বলে অর্থাৎ মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। ব্যবহারের অযোগ্য এমন নৌকা যা কিনা মৃত! নদী বা সামুদ্রিক বন্দর এলাকায় বা এমন অনেক যায়গায় দেখতে পাবেন এমন মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়া নৌকা, বা যেখানে পূরাতন নৌকা রিপেয়ার করা হয়, অথবা  দেখবেন যেখানে নদী বা সামুদ্রিক তীরে নৌকা ভিড়ানো থাকে, সেখান কার মাঝি ভাইদের সাথে যোগাযোগ করেও কিছু অর্থ মূল্য দিয়ে আপনি পুরাতন নৌকার পেরেক সংগ্রহ করতে পারেন। পেরেক সংগ্রহ করার পর তা দিয়ে বিনা আগুনে আংটি বানিয়ে সরিষার তেলে ডুবিয়ে দেবেন।  শনিবার সন্ধ্যা বেলা শনি মন্দির থেকে নাম গোত্র ও দক্ষিণা দিয়ে বিধি অনুযায়ী শোধন করে নেবেন, তারপর এই সন্ধ্যা বেলাতেই ধারণ করবেন। মনে রাখবেন এই নৌকার পেরেক একদম একশ শতাংশ নীলার মতোই কাজ করে, এতে কোনো ভুল নেই।  শনির যেকোনো দশায় কালো ঘোড়ার খুর বা নালের মতোই নৌকার পেরেক হলো রামবাণ! অর্থাৎ যা কিনা অব্যর্থ। সবশেষে বলবো আপনাদের কোনো কিছু জানার থাকলে নির্দিধায় কমেন্ট করুন, আমি সমস্ত কমেন্টের যথাযত উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করবো । ভালো লাগলে আমার পেজে লাইক দিন এছাড়াও নিন্ম লিখিত WhatsApp নাম্বারে Messege করতে পারেন।

9831 288159




মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

ভোজ্য পত্র কি ? আসল ও নকল ভোজ্য পত্র চিনবেন কিভাবে ?

বারো মুখী রুদ্রাক্ষের উপকারিতা ও ব্যবহার বিধি !

স্বপ্ন দোষ ? কালসর্প দোষ ? বশীকরণ বা কর্মে সাফল্য চান? তাহলে জানুন ময়ুর পালকের কিছু অসামান্য গুনাগুন!