বাস্তু তে আর্থিক সমৃদ্ধির জন্য ইচ্ছা (পূরণ) পূর্তি কচ্ছপ! প্রথম পর্ব। - DHAR ARTS

Breaking

dhar arts


 


 


সোমবার, ১ মার্চ, ২০২১

বাস্তু তে আর্থিক সমৃদ্ধির জন্য ইচ্ছা (পূরণ) পূর্তি কচ্ছপ! প্রথম পর্ব।



                               
ইচ্ছা পূরণ কচ্ছপ


আমার আজকের বিষয় এই ইচ্ছা পূরণ কচ্ছপ নিয়ে। যার প্রথম পর্ব আজকে আলোচনার বিষয়।প্রিয় পাঠক,বাস্তু ও ফেংশুই মতে কচ্ছপ অতি সুফল প্রদ প্রাণী ও সৌভাগ্যর প্রতিক। শুধু তাই নয়, কচ্ছপ দীর্ঘায়ুর প্রতিক। কিন্তু আমাদের অর্থাৎ মানুষের লালসার কারণেই কচ্ছপ আজ বিলুপ্তপ্রায় প্রাণী। প্রিয় পাঠক আপনারাই একটু বিচার করে দেখবেন, আমাদের এই লোভ আর অতিরিক্ত চাহিদাই কিন্তু আমাদের প্রধান দুঃখের কারণ! আমরা পূরান থেকে জানতে পারি, কোনো এক সময়ে ঋষি দুর্বাসার অভিশাপে সমস্ত লোক শ্রীহীন হয়ে পড়ে। মা লক্ষ্মী সহ সকল ঐশ্বর্য্য বৈভব ক্ষীর সাগরের অতলে চলে যায়। তখন পরম পিতা ব্রহ্মার পরামর্শে দেব গুরু বৃহস্পতি সহ সকল দেবগন গেলেন, ক্ষীর সাগরে, অনন্ত শয্যায় যোগ নিদ্রায় শায়িত, জগৎ পালক ভগবান শ্রী হরি বিষ্ণুর কাছে। ভগবান শ্রী হরি বিষ্ণু তখন দেবতা দের সমুদ্র মন্থনের পরামর্শ দেন। কিন্তু এতোবড় কর্মযজ্ঞ যে সম্পন্ন করা শুধু দেবতা দের পক্ষে সম্ভব নয়, তা তিনি জানতেন। তাই পরামর্শ দিলেন, অসুর জাতির সঙ্গে সন্ধি প্রস্তাব ও শুক্রাচার্য্যের কাছে সাহায্য প্রার্থনা করার জন্য। দৈত্যগুরু সকল দৈত্যাসুরের মঙ্গলের জন্যে সমুদ্র মন্থনের সম্মতি দেন। এবং ঠিক হয় মন্থনে উত্থিত সকল দ্রব্য আধা-আধি ভাগ হবে। ভগবান শ্রী হরি বিষ্ণুর ইচ্ছায় ধরিত্রীর মান্দারাচল পর্বত কে মন্থন দ্বার হিসেবে নিযুক্ত করা হয়। আর মন্থনের রজ্জু হিসেবে নিযুক্ত হয় স্বয়ং মহাদেবের নাগহার নাগরাজ বাসুকি। এরপর যথা সময়ে শুরু হয় সমুদ্র মন্থন।


দেবতারা চালাকি করে নাগরাজ বাসুকির ভয়ানক বিষ থেকে বাঁচতে লেজের দিকটা ধরে। আর অসুরেরা ধরে বিষাক্ত মুখের দিকটা। এতো কিছুর পরেও ভাগ্য কিন্তু বিশেষ সহায় হলো না। ক্ষীর সমুদ্র মান্দারের ভার বহনে অসমর্থ! বিশালকায় মান্দার পর্বত ক্রমাগত সমুদ্রের গভীরে প্রবেশ করতে লাগলো। সকলের মনে হতে লাগলো, সমুদ্র মন্থন কার্যত অসম্ভব! তখন সকল দেবতাদের কাতর প্রার্থনায় জগৎ পালক ভগবান শ্রীহরি বিষ্ণু কচ্ছপ ( কূর্মা ) রূপে অবতীর্ণ হলেন। এবং সমুদ্রের গভীরে গিয়ে মান্দার পর্বত কে নিজ পৃষ্ঠে ধারণ করলেন! এবার শুরু হলো সমুদ্র মন্থন। প্রথমেই উঠলো ভয়ানক গরল হলাহল! তাথেকে ভগবান দেবাদিদেব মহাদেব সমস্ত লোককে রক্ষা করলেন। এরপর একে একে উত্থিত হতে থাকলো পারিজাত বৃক্ষ, উচ্চশ্রৈবা নামক ঘোড়া, ঐরাবত নামক হাতি ও মাতা কামধেনু , সহ আরো অনেক কিছু। এরপর সকল ধন সম্পদ সহ ত্রিভুবন আলো করে জগৎ মাতা দেবী লক্ষ্মীর আবির্ভাব হয়। ও সবশেষে অমৃত কলস সহ বৈদ্য ধন্বত্বরী দেবের আবির্ভাব হয়। পুরানের এই কাহিনী থেকেই আমরা জানতে পারি ভগবানের কচ্ছপ রূপে অবতীর্ণ হওয়ার কারণ।

পাঠক বন্ধু তাই বলবো যদি সম্ভব হয়, তাহলে বাড়ির ঈশান কোণে অর্থাৎ উত্তর পূর্ব কোণে একটি জলাধার তৈরী করুন। তাতে জীবন্ত দুটি (পুরুষ ও স্ত্রী) কচ্ছপ পালন করুন। আগেই বলেছি কচ্ছপ অনেক ফলদায়ী। কচ্ছপ এখন বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনের অধীনে। তাই পালন যদি সম্ভব না হয়, তাহলে কোনো বাস্তু ফেংশুই-এর দোকান থেকে ছবিতে দেওয়া এমন একটি ধাতব কচ্ছপ সংগ্রহ করুন। এটাকে ইচ্ছা পুর্তি কচ্ছপ বলা হয়। কারণ বাস্তু ও ফেংশুই মতে আপনার মনে যদি কোনো অপূর্ণ ইচ্ছা থাকে (যেমন দীর্ঘদিনের রোগ থেকে মুক্তি, সন্তানের সুখ , ধন সম্পদ বৃদ্ধি, ও আরো অন্যান্য কোনো অপূর্ণ ইচ্ছা) তবে তা অবশ্যই পূর্ণ হবে।  কিন্তু কিভাবে? প্রথমেই এই ধাতব কচ্ছপ টি সংগ্রহ করুন। এইটি বাস্তু ও যেকোনো ফেংশুই বা অনেক সময় আর্চিস ও গিফ্ট আইটেম এর দোকানেও পেয়ে যেতে পারেন।

সংগ্রহের পর একটি লাল কাগজ অথবা ভোজ্য পত্রে লাল কালি (কুমকুম ও কেশর সহযোগে) দিয়ে নিজের অপূর্ণ ইচ্ছার কথা লিখুন।

এরপর কচ্ছপ টি দুই হাত দিয়ে ওপরের ও নিচের অংশ টি আলাদা করুন, তারপর লিখিত পত্রটি ভাঁজ করে, ঐ কচ্ছপের মধ্যে প্রবেশ করিয়ে কচ্ছপটি কে পূনরায় আটকে দিন। এরপর ঐ কচ্ছপ টি একটি ধাতব পাত্রে রাখুন। তারপর ঐ পাত্রে পরিষ্কার সচ্ছ জল দিন। কচ্ছপের গলা যেন স্পর্শ করে, ঠিক ততটাই জল দেবেন। এই ভাবে ৪০ (চল্লিশ) দিন রেখে দেবেন। দেখবেন আস্তে আস্তে সমস্ত জল কচ্ছপ টি শুষে নেবে। চল্লিশ দিনের মধ্যে আপনার কোনো অপূর্ণ ইচ্ছা পূরণ হলে ঐ ধাতব কচ্ছপ টি জলে বিসর্জন দিয়ে দেবেন।
সব শেষে একটাই কথা বলবো, কোনো কিছু জানার থাকলে অবশ্যই কমেন্ট করবেন। আর যদি জ্যোতিষ, বাস্তু, ফেংশুই, যন্ত্র, তন্ত্র সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে চান, তাহলে আমাদের এই পেজটি তে লাইক দিন, আর আমাদের ইউটিউব চ্যানেল ( DHAR ARTS ) টি সাবস্ক্রাইব করে পাশের নোটিফিকেশন বেল আইকন টি প্রেস করে দিন......।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন