বিদ্যা,ব্যবসায় বাধা? পারদ শিব লিঙ্গের প্রভাবে, নবগ্রহ, শনির সাড়ে সাতি, ও কালসর্প জনীত সমস্যা থেকে চিরতরে মুক্তি!
পারদ শিব লিঙ্গ সম্মন্ধে আলোচনা করার আগে, পারদ শিব লিঙ্গ যে উপকরণ দিয়ে তৈরী করা হয়, তার প্রধান উপকরণ অর্থাৎ পারদ। সেই পারদ সম্পর্কে দু-চার কথা আলোচনা করে নেওয়া যাক।পারদ কথাটার সঙ্গে আমরা প্রায় সকলেই অল্প বিস্তর পরিচিত। পারদ সম্পর্কে প্রায় আমাদের সকলেরই মোটামুটি একটা ধারণা আছে। পারদ কে চলতি কথায় পারা বলা হয়। এই পারা আসলে তরল ধাতু! সকল ধাতু অপেক্ষা ভারী। এবং যে কোনো তাপমাত্রাতে পারা তরল অবস্থাতেই থাকে। আমরা ডাক্তারি থার্মোমিটারের সঙ্গে বিশেষ ভাবে পরিচিত। এই থার্মোমিটারের মধ্যে থাকা রূপালী রঙের চকচকে বিশেষ অংশটি হলো পারদ। এই তরলটিকে বিশেষ রাসায়নিক প্রক্রিয়া দ্বারা জমাট বাঁধিয়ে শিবলিঙ্গের আকৃতি দেওয়া হয়। এই সম্পর্কে পরে কখনো বিশদভাবে আলোচনা করবো। আমরা যারা ঈশ্বরে বিশ্বাসী, তাদের ঘরে নিশ্চয়ই অন্য দেবতার সঙ্গে ভগবান শিবের প্রতিক শিব লিঙ্গের পূজা করা হয়। এবং ভগবান শিবের মাহাত্ম্য সম্পর্কে আমরা সকলেই অবগত। আশুতোষ ভগবান সামান্য বেল পাতাতেই তুষ্ট। এখন আপনার মনে প্রশ্ন আসতে পারে, আপনার ঘরে তো কালো বা সাদা পাথরের শিব লিঙ্গ প্রতিষ্ঠিত আছে, তাহলে আলাদা করে পারদ শিব লিঙ্গের পূজা করবার কি দরকার আছে? আমি বলবো তার প্রধান কারণ বাস্তু! জ্যোতিষ শাস্ত্রে বুধ গ্রহের শান্তির জন্য পারদ ব্যবহার করতে বলা হয়েছে। তবে বিশেষ পদ্ধতি দ্বারা। মনে রাখবেন পারদ দ্রবীভূত ও বিষাক্ত! খুব সাবধানে এর ব্যবহার করতে হয়। যাই হোক, অথর্ববেদ অনুসারে বুধের পিতা চন্দ্র। আর চন্দ্রদেব সর্বদা মহাদেবের জটায় প্রতিক রূপে শোভা পায়। আর পরবর্তী কালে দ্বাপর যুগে ভগবান শ্রী কৃষ্ণ এই চন্দ্র বংশেই অবতীর্ণ হন। তাই বুধ দেবাদিদেব মহাদেবের বিশেষ স্নেহ কৃপা প্রার্থী। বুধের প্রভাবেই ব্যাক্তি, বিদ্যা বুদ্ধিতে পারদর্শিতা লাভ করে। এইবার বলবো পারদ শিব লিঙ্গ গৃহে প্রতিষ্ঠার ফলে ঠিক কি কি ফল লাভ হতে পারে। দ্বাদশ জ্যোর্তিলিঙ্গের পূজা বা দর্শন করলে যে পূণ্যফল প্রাপ্তি হয়, পারদ শিবলিঙ্গের দর্শন মাত্রেই সেই একই পূণ্যফল প্রাপ্তি হয়। পারদ শিব লিঙ্গ প্রতিষ্ঠা করে নিত্য পূজা করলে ব্যক্তির সংসারের সকল অশান্তি দুর হয়। যেমন দারিদ্রতা, ব্যবসায় বাধা, ও সকল প্রকার রোগ ব্যাধি থেকে শীঘ্রই মুক্তি লাভ ঘটে। অকাল মৃত্যু ভয় আর থাকে না।
নব গ্রহের সকল দোষ থেকে সম্পূর্ণ মুক্তি ঘটে। সন্তানহীন দম্পতির সন্তান প্রাপ্তি হয়। আপনার যদি কালসর্প দোষ থেকে থাকে, তাহলে অবশ্যই পারদ শিবলিঙ্গের প্রতিষ্ঠা করুন। এবং ভক্তি সহযোগে এর নিত্য পূজা করুন। আপনার জীবনে কালসর্প জনীত সমস্যা আর থাকবে না। আপনার কি শনির সাড়ে সাতি চলছে? চিন্তা করার কিছু নেই! তবে হ্যাঁ এটাও সত্যি যে, সাড়ে সাতি থেকে সম্পূর্ণ মুক্তি লাভ কখনোই সম্ভব নয়। তবে এটাও বলব,সাড়ে সাতি নিয়ে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। স্কুল জীবন বা চাকুরী ক্ষেত্রে যেমন বিভিন্ন সময়ে আমাদের বিভিন্ন কঠিন পরীক্ষার মধ্যে দিয়ে উত্তীর্ণ হতে হয়, ঠিক তেমনই বাস্তব জীবনেও বেঁচে থাকার লড়াইয়ের কঠিন পরীক্ষা দিতে হয়। পুরোপুরি না হলেও, পারদ শিব লিঙ্গের দিব্য প্রভাবে সাড়ে সাতির প্রভাব অনেকটাই কম হবে। আপনার পূত্র বা কন্যার যদি বিবাহ জনীত কোনো সমস্যা থেকে থাকে, তাহলে গৃহে অবশ্যই পারদ শিব লিঙ্গ প্রতিষ্ঠা করে এর নিত্য পূজা করুন। এতে সকল বাঁধা অবশ্যই দুর হবে। খাঁটি উৎকৃষ্ট মানের পারদ শিবলিঙ্গের বাজার দর একেবারেই সাধ্যের মধ্যে।
বিধি সম্মতঃ সতর্কীকরণ ঃ অবশ্যই মনে রাখবেন, পারদ শিব লিঙ্গের স্নান জল বা চরণামৃত কখনোই পান করবেন না। কারণ পারদ কালকুট হলাহল বিষের সমতুল্য !
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন