বাস্তু ও ফেংশুই মতে গাছ হলো সমৃদ্ধির প্রতিক !


গাছ হলো প্রকৃতির শোভা। আবার এই গাছই হলো আমাদের জীবনের প্রধান কারণ! তাই গাছ হলো জীবন ও সমৃদ্ধির প্রতিক।

গাছ আমাদের অক্সিজেন প্রদান করে বায়ুমণ্ডল কে শুদ্ধ করে। তাই এখন আমি আলোচনা করব আমাদের ঘরের ভেতরের পরিবেশ কে কিভাবে শুদ্ধ করে সৌভাগ্যে পরিবর্তিত করা যায়। ঘরের ভেতরের গাছ ঘরের নেগেটিভ শক্তি শোষণ করে পজেটিভ শক্তি বৃদ্ধি করে।


ফেংশুই মতে গাছ যেখানে বৃদ্ধি প্রাপ্ত হয়, ফুল ও ফল হয়, সেই সঙ্গে সেখানকার বসবাসকারী মানুষদেরও সৌভাগ্যদয় ঘটে। তাই ঘর বা বাড়ীর প্রবেশের মূল দরজাটির যে কোনো এক পাশে রাখলে গৃহে নেগেটিভ শক্তি প্রবেশে বাধা পায়, এবং পজেটিভ শক্তির বৃদ্ধি ঘটে। অফিসে বা দোকানের গেটের ধারে রাখলে তা খরিদ্দারদের আকর্ষণ করে। ফলস্বরূপ আপনার দোকানের শ্রীবৃদ্ধি ঘটে।





অনেক বাড়িতে উপযুক্ত পরিবেশ না থাকায়, ইচ্ছা থাকলেও আসল গাছ রাখতে পারেন না, তাদের কে বলবো এক্ষেত্রে কৃত্রিম বা নকল গাছ রাখলেও ক্ষতি নেই। কাগজ বা প্লাস্টিকের ফুল ও ফল সহ তৈরী গাছ এখন বাজারে কিনতে পাওয়া যায়, সেগুলি কিনে এনে ঘরে বসালেও ঐ একই ফল লাভ হবে। বরং কৃত্রিম গাছ রাখলে একটা সুবিধা আছে যে, এর পাতা শুকোয় না, ফুল ফল শুকোয় না, বা ঝড়েও পড়ে না। জানবেন শুকিয়ে আসা গাছ বা শুকনো পাতা ঝড়ে পড়া মোটেও ভালো লক্ষণ নয়। তা ব্যায়, বার্ধক্য, ও রোগ ব্যাধি কে সুচিত করে।





শুকিয়ে বা মরে যাওয়া ফুলও একই কারণে অশুভ। ঘরে বা অফিসে গাছ বসালে তাই সদা সর্বদা সতর্ক থাকবেন। জীবিত গাছের যত্ন নিতে হবে। শুকিয়ে যাওয়া গাছকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সরিয়ে দিতে হবে। শোবার ঘরে কখোনোই কোনো গাছ রাখবেন না। স্বাস্থের জন্য তো ক্ষতিকারক বটেই, এবং ফেংশুই মতে তা অত্যন্ত অশুভ! গাছের একটা বড় গুণ হলো, যেকোন নেগেটিভ শক্তি শোষণ করে পজেটিভ শক্তির বৃদ্ধি ঘটানো। যেকোনো বিষ তীর কে ( শত্রু দের কুনজর ও ক্ষতিকারক চিন্তা ভাবনা ) প্রতিহত করতে পারে।

যেমন ধরুন আপনার কাজের ঘরের ডেস্ক বা টেবিলের পেছনে যদি কোনো জানালা থাকে, যেখান দিয়ে নেগেটিভ শক্তি ঘরে ঢোকার সম্ভাবনা আছে, তাই এমন যায়গায়, ঐ জানালার পাশে একটি গাছের টব রাখুন। গাছটি ঘরে নেগেটিভ শক্তি প্রবেশে বাধা দেবে। মনে রাখবেন পঞ্চভূতের মতো প্রকৃতিরও কিন্তু পাঁচটি মৌল তত্ব আছে। আর এগুলি আমাদের পৃথিবীর মধ্যে সর্বদা বিরাজ করে। আর এই তত্ব গুলি হলো (১) কাঠ (২) অগ্নি (৩) পৃথ্বী (৪) ধাতু (৫) জল।  আর গাছ হলো কাঠ মৌল তত্ত্বের অন্তর্গত। তাই ঘরের যেকোনো যায়গায় পৃথ্বী আক্রান্ত হলে, গাছ হয়ে ওঠে তার প্রতিষেধক ! পৃথ্বী সাধারণত কর্মক্ষেত্র অঞ্চলটিকে আক্রমণ করে সেই দিকটির ক্ষতি করতে চায়।

কর্মক্ষেত্র ( উত্তর দিক ) দিকটির মৌল তত্ব হলো জল। তাই ঐ দিকটায় জলের কোনো পাত্র বসাতে পারেন। আপনার কর্মক্ষেত্রের সকল সমস্যা দুর হবে। আপনার কর্মক্ষেত্রের কোণটিতে কোনো জল ভর্তি জার বা গ্লাসে একটি নকল গাছ বসিয়ে রাখতে পারেন। তবে কাঁচ বা ধাতব পাত্র হতে হবে, কোনো মাটি বা সেরামিকের পাত্র চলবে না। কারণ, এগুলো পৃথ্বী মৌল তত্ত্বের প্রতিক। যদি আসল গাছ বসান, তাহলে খেয়াল রাখুন, যাতে ঐ গাছ তাড়াতাড়ি বাড়তে পারে। কর্মক্ষেত্রের কোণে গাছের দ্রুত বৃদ্ধি আপনার কর্ম জগতের দ্রুত উন্নতিকেই সুচিত করবে। এই কোণটিতে বাঁশ রাখতে পারলে খুবই ভালো হয়। তবে অফিসে বা ঘরের কোণে তো আর বাঁশ রাখা সম্ভব নয়।


তাই বাঁশ জাতীয় কোনো আসবাবপত্র রাখতে পারেন। আর তা যদি সম্ভব না হয়, তাহলে ঐ দিকে বাঁশ গাছের ছবি রাখতে পারেন।

আপনার সম্পদ কোণ কে ( দক্ষিণ- পূর্ব আগ্নেও কোণ ) উজ্জীবিত করতে আপনি সেরামিকের একটি নীল পাত্রে বেগুনি রঙের ফুল ওয়ালা গাছ বসিয়ে দিন। বা ঐ কোণে কোন মাটির পাত্রে মানিপ্লান্টের গাছ বসাতে পারেন, এতেও সম্পদ বৃদ্ধি পাবে।



যশ বা খ্যাতির অঞ্চলটিকে ( দক্ষিণ দিক ) বেশি মাত্রায় সক্রিয় করে তোলার জন্য ঐ স্থানে আপনি যে কোনো লাল ফুল বা লাল জবা ফুলের গাছ লাগাতে পারেন। 



গাছ বসানোর ক্ষেত্রে একটা কথা বিশেষ ভাবে মাথায় রাখবেন, বাড়িতে বা অফিসে আপনার কর্মস্থলে কখনোই ক্যাকটাস বা বনসাই জাতীয় গাছ রাখবেন না! কারণ এর থেকে নেগেটিভ শক্তি প্রবাহিত হয়। আর বনসাই হলো রুদ্ধ বিকাশের প্রতিক! এই গাছ গুলি ঘরে বা অফিসে রাখলে আপনার উন্নতি ব্যহত হতে পারে।বাড়িতে জেড বা সবুজ উদ্ভিদ রাখা সব থেকে মঙ্গলজনক। সবুজ উদ্ভিদ সমৃদ্ধি আনে। তাই ঘর বা অফিসের সম্পদের ( দক্ষিণ - পূর্ব ) দিকে এই গাছ লাগালে খুবই শুভ ফল পাবেন।

আপনার বাড়িতে কি লেবু গাছ আছে?  যেকোনো লেবু গাছ থাকলেই হলো। যদি বাতাপি লেবু থাকে, তাহলে তা পরম সৌভাগ্যের প্রতীক!


বাতাপি লেবুর মতো কমলা লেবুও পরম সৌভাগ্যের প্রতীক, এবং তা সোনার সমতুল্য। যদি আপনার বাড়িতে একান্তভাবেই লেবু গাছ রাখা সম্ভবপর না হয়, তাহলে বাজার থেকে নকল লেবু গাছ এনে বাড়িতে রাখুন, এবং তাতে ঐ একই কাজ হবে। লেবু গাছ বাড়ির দক্ষিণ - পূর্ব দিকে হওয়াই সব থেকে শুভ।

সব শেষে একটাই কথা বলবো, কোনো কিছু জানার থাকলে অবশ্যই নিঃসঙ্কোচে কমেন্ট করবেন। আর যদি জ্যোতিষ, বাস্তু, ফেংশুই, যন্ত্র, তন্ত্র সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে চান, তাহলে আমাদের এই পেজটি তে লাইক দিন, আর আমাদের ইউটিউব চ্যানেল ( DHAR ARTS ) টি সাবস্ক্রাইব করে পাশের নোটিফিকেশন বেল আইকন টি প্রেস করে দিন......।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

ভোজ্য পত্র কি ? আসল ও নকল ভোজ্য পত্র চিনবেন কিভাবে ?

বারো মুখী রুদ্রাক্ষের উপকারিতা ও ব্যবহার বিধি !

স্বপ্ন দোষ ? কালসর্প দোষ ? বশীকরণ বা কর্মে সাফল্য চান? তাহলে জানুন ময়ুর পালকের কিছু অসামান্য গুনাগুন!