সন্তান যখন অবাধ্য ! তখন মা-বাবার কি করণীয়। - DHAR ARTS

Breaking

dhar arts


 


 


বৃহস্পতিবার, ৪ মার্চ, ২০২১

সন্তান যখন অবাধ্য ! তখন মা-বাবার কি করণীয়।


প্রতিটি মা বাবার একটাই সমস্যা, তাদের সন্তান অবাধ্য!  মা বাবা দুজনেই মানে না। কিশোর অবস্থায় বন্ধু বান্ধব দের সঙ্গে আড্ডা ও অনেক রাত করে বাড়ি ফেরা, পড়াশোনার কোনো বালাই নেই, এগুলো যেকোনো মা বাবার কাছেই চিন্তার প্রধান কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এমন সমস্যার সমাধান যদি আপনি চান, তাহলে আপনি ফেংশুই বিদ্যার সহায়তা নিতে পারেন। প্রথমেই বলবো আপনার সন্তানের ঘরের কথা। পড়ার ঘর কোন দিকে হওয়া উচিত? পড়ার ঘর হওয়া উচিত, উত্তর-পূর্ব  বা পূর্ব অথবা পশ্চিম দিকে। ঘরের দরজা পূর্ব দিকে করলে ভাল হয়। কেননা বাস্তু অনুসারে উত্তর-পূর্ব জ্ঞান ও শিক্ষার দিক। পূর্ব দিক হলো শক্তি শালী দিক, এই দিকে আমাদের প্রত্যক্ষ ভগবান সূর্য্য দেব উদিত হন। ঘরের রঙ হওয়া উচিত সবসময় হালকা রঙের। পড়ার সময়ে পূর্ব বা উত্তর দিকে মুখ করে বসা উচিত হবে। পড়ার ঘরের দরজা উত্তর পূর্ব বা পূর্ব দিকে হওয়া বেশি শুভ।

                সন্তানের পড়াশোনা করার উপযোগী ঘর।

১ । এবার বলবো আপনার সন্তানের বিছানার কথা, এক্ষেত্রে সন্তানের ঘুমানোর ঘরটি হওয়া উচিত পশ্চিম দিকে। আর যদি পড়াশোনার ঘরে ঘুমানোর ব্যবস্থা থাকে, তাহলে খাট - বিছানা রাখা হোক পশ্চিম দিকে। ঘুমানোর সময়ে দক্ষিণ দিকে মাথা রেখেই ঘুমানো উচিত। কারণ দিকটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। পৃথিবীর উত্তর আর দক্ষিণ এই দুই মেরু আদতে চৌম্বক ক্ষেত্র! এই দুই মেরুতে সর্বদাই চৌম্বকীয় তরঙ্গ প্রবাহিত হয়। আমরা পৃথিবীতে বাস করি, তাই আমাদের মধ্যেও চৌম্বকীয় প্রভাব থাকা স্বাভাবিক। আমরা জানি চুম্বকের একটি বিশেষ ধর্ম আছে। যে কোনো সম মেরু, যেমন উত্তর - উত্তর, বা দক্ষিণ - দক্ষিণ, সর্বদা বিকর্ষিত হয়। আবার বিসম মেরু, যেমন উত্তর - দক্ষিণ, বা দক্ষিণ - উত্তর, সর্বদা পরস্পর কে আকর্ষিত করে। এক্ষেত্রে আমাদের মাথা হলো উত্তর মেরু, আর পা হলো দক্ষিণ মেরু। তাই ঘুমানোর সময়ে দক্ষিণ দিকে মাথা রেখে ঘুমানোই ঠিক হবে।

                              সন্তানের শোবার ঘর।

২। সন্তানের ঘরের দরজার সোজাসুজি সিঁড়ি বা বাথরুম আছে কি? যদি তাই হয়, তাহলে জানবেন, ওখানে উৎপন্ন নেগেটিভ শক্তি আপনার সন্তানকে প্রতিনিয়ত চঞ্চল তুলবে। এবং তার ফলে আপনার সন্তান পড়াশোনায় অমনোযোগী ও আপনার কথায় অবাধ্য হয়ে উঠবে। ধীরে ধীরে নিজেকে বিদ্রোহী করে তুলবে। এর ফলে আপনার সন্তান ধীরে ধীরে গভীর ভাবে তার চিন্তা করার ক্ষমতা হারাবে, এবং নিজ লক্ষ্য বা উদ্দেশ্য কোনটাই স্থির রাখতে পারবে না। এক্ষেত্রে আপনার যা করণীয়, যদি আপনার সন্তানের ঘর বদল করতে পারেন তাহলে খুব ভালো হয়। আর তা যদি সম্ভব না হয়, তাহলে বাথরুমের দরজা ও ঘরের দরজার মাঝখানে, বা সিঁড়ি ও ঘরের দরজার মাঝে একটা হাওয়া ঘন্টা ঝুলিয়ে দিন।


৩। আপনার সন্তানকে কখনোই মেঝেতে শুতে দেবেন না, বা খুব নিচু বিছানাতেও শোয়া উচিত নয়। এতে চিন্তা ভাবনাও খুব নিচু মানের হয়। তাছাড়া শারীরিক সুখেরও ব্যাঘাত ঘটে। এছাড়া ভবিষ্যতে স্বাস্থ্যজনীত সমস্যাও দেখা দিতে পারে। সব শেষে একটাই কথা বলবো, কোনো কিছু জানার থাকলে অবশ্যই কমেন্ট করবেন। আর যদি জ্যোতিষ, বাস্তু, ফেংশুই, যন্ত্র, তন্ত্র সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে চান, তাহলে আমাদের এই পেজটি তে লাইক দিন, আর আমাদের ইউটিউব চ্যানেল ( DHAR ARTS ) টি সাবস্ক্রাইব করে পাশের নোটিফিকেশন বেল আইকন টি প্রেস করে দিন......।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন