গনেশ রুদ্রাক্ষের উপকারিতা !

ganesh-rudraksha-dhar-arts


নমস্কার পাঠক বন্ধু, আজ আমার আলোচ্য বিষয় গনেশ রুদ্রাক্ষ। গনেশ রুদ্রাক্ষ কি এবং ব্যবহার করলে কি ফল পাওয়া যায়, অতি সংক্ষেপে আমি আমি আমার সাধ্যমত এই বিষয়ের উপর আলোকপাত করার চেষ্টা করছি।


প্রথমেই বলবো এই রুদ্রাক্ষ অলৌকিক! তবে দুর্লভ নয়। এই রুদ্রাক্ষ খুব সহজেই পাওয়া যায়। আমরা জানি ১ থেকে ২১ মুখী রুদ্রাক্ষ সাধারণত বাজারে পাওয়া যায়। এর মধ্যে ১ থেকে ১২ মুখ পর্যন্ত রুদ্রাক্ষ বাজারে সহজ লভ্য। অর্থাৎ যা কিনা খুব সহজেই পেয়ে যাবেন। এর মধ্যে ১ ও ২ বাদ দিলে যে কোনো রুদ্রাক্ষই গনেশ রুদ্রাক্ষ হতে পারে। তবে মুখ কম বা বেশি অনুযায়ী এর মুল্য নির্ধারণ করা হয়।  এই ধরুন ৩ থেকে ৬ এর মধ্যে হলে এর মূল্য খুব বেশি নয়। এই বিষয়ে বিশদে জানতে আমার what's app নাম্বারে যোগাযোগ করতে পারেন, বা কমেন্ট করতে পারেন।





এই রুদ্রাক্ষের আকৃতি ও বৈশিষ্ট্য


এর গঠন বা আকৃতি সাধারণত গোল হয় ।  তবে এই যে দেখতে পাচ্ছেন এই যে, রুদ্রাক্ষের গা থেকে একটি ভগবান গনেশের শুঁড়ের বা হাতির শুঁড়ের মতো কিছু একটা বেড়িয়ে আছে, এই জন্যই এই রুদ্রাক্ষ কে গনেশ রুদ্রাক্ষ বলে। পৌরাণিক কাহিনী থেকে আমরা জানতে পারি যে রুদ্রাক্ষ দেবাদিদেব মহাদেবের অংশ। এবং সেই কারণে তা অবশ্যই মহাদেব তুল্য, এবং এটাও মনে রাখবেন যে, মহাদেব সকল দেবতার আরাধ্য। তাই রুদ্রাক্ষ ধারণ করলে এমনিতেই সকল দেব-দেবীর আশির্বাদ পাওয়া যায়। আর ভগবান শ্রী গনেশ হলেন মহাদেব ও মাতা পার্বতীর পুত্র। তিনি ভগবান বিষ্ণু ও মাতা লক্ষ্মীর অতি প্রিয়, এবং ভগবান শ্রীহরি বিষ্ণুর আশির্বাদে তিনি প্রথম পূজার অধিকারী। ভগবান গনেশ সিদ্ধি দাতা! যিনি ভগবান শ্রী গনেশের কৃপা লাভ করেন তাকে কখনোই অ সফলতা স্পর্শ করতে পারে না।





গনেশ রুদ্রাক্ষ সুখ সমৃদ্ধি ও সফলতার প্রতীক। এবং এটি ব্যবহার করলে সমস্ত রিদ্ধি-সিদ্ধি অর্জন করা যায়। শুধু তাই নয় এটি ভরপুর শারীরিক ও মানসিক শান্তিও প্রদান  করে। তবে এটি পরিধানের পূর্বে অবশ্যই নাম গোত্র সহযোগে বিধি অনুযায়ী পূজা ও প্রাণ প্রতিষ্ঠা করে নিতে হবে। এবং শরীর ও মন থেকে সমস্ত জাগতিক  চিন্তা মুক্ত হয়ে নিজেকে সৎ ও প্রবিত্র করে তবেই ধারণ করতে হবে। আসুন এখন আলোচনা করে নেওয়া যাক, কেন গনেশ রুদ্রাক্ষ পরা উচিত এবং এর ব্যবহারের সুবিধা টাই বা কি?


গণেশ রুদ্রাক্ষ উপকারিতা


যদি আপনার স্মৃতি শক্তি  দুর্বল থাকে তবে আপনার গণেশ রুদ্রাক্ষ অবশ্যই ধারণ করা উচিত। বলা হয়ে থাকে যে এটি শুধু স্মৃতিশক্তি কে বাড়িয়ে তোলাই নয়, যে কোনও কাজ করার ক্ষেত্রে মন ও চিত্তে একাগ্রতা নিয়ে আসে। এই প্রসঙ্গে স্মরণ করতে পারেন শ্রীকৃষ্ণ দ্বৈপায়ন বেদ ব্যাসের সহিত  শ্রী গনেশের মহাভারত লেখার অপূর্ব কাহিনী টি।



আপনি বা আপনার সন্তান যদি পড়াশুনা বা সেই সংক্রান্ত বিষয়ের সাথে সম্পর্কিত যে কোনও সমস্যার সম্মুখীন অথবা কর্ম ক্ষেত্রে বিভিন্ন সমস্যার কারণে  জ্যোতিষী আপনাকে হয় তো বুধ গ্রহের সমস্যার জন্য ভালো পান্না ব্যবহার করতে বলেছেন, কিন্তু আর্থিক অসঙ্গতি হওয়ার কারণে আপনি তা একেবারেই করতে পারছেন না, তবে তাদেরকে বলবো পান্নার বিকল্প হিসেবে ভালো উৎকৃষ্ট মানের একটি গনেশ রুদ্রাক্ষ ধারণ করুন। সকল প্রকার  সমস্যার সমাধান হবে, এটা নিশ্চিত ভাবে বলা যায়। কারণ এই রুদ্রাক্ষ বুধ গ্রহ কে সর্বতোভাবে নিয়ন্ত্রন করে। এছাড়াও এই রুদ্রাক্ষ ধারণের ফলে কেতুর দোষও খন্ডিত হয়। মনে রাখবেন গণেশ রুদ্রাক্ষ মানুষের বিবেক, চেতনা, ও বুদ্ধি কে জাগৃত করে।


গণেশ রুদ্রাক্ষ ব্যবহারের মাধ্যমে সকল প্রকার মানসিক সমস্যার সমাধান করা যায়।



গণেশ রুদ্রাক্ষ ধারণ করার শুভ দিন!




এমনিতেই যেকোনো রুদ্রাক্ষ ধারণ করার শুভ দিন হলো সোমবার। তবে গণেশ রুদ্রাক্ষ ধারনের জন্য সব থেকে শুভ দিন হলো গনেশ চতুর্থী। আর তা যদি কোনো কারণে সম্ভব না হয়ে থাকে, তাহলে যেকোনো বুধবারেও এই রুদ্রাক্ষ ধারণ করা যেতে পারে। এই রুদ্রাক্ষ ধারণের সময় যে মন্ত্র উচ্চারণ করবেন তা হলো ওম নম শিবায় বা ওম গন গনপতেয় নমঃ



মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

ভোজ্য পত্র কি ? আসল ও নকল ভোজ্য পত্র চিনবেন কিভাবে ?

বারো মুখী রুদ্রাক্ষের উপকারিতা ও ব্যবহার বিধি !

স্বপ্ন দোষ ? কালসর্প দোষ ? বশীকরণ বা কর্মে সাফল্য চান? তাহলে জানুন ময়ুর পালকের কিছু অসামান্য গুনাগুন!