বরকে কে নিয়ে পালিয়ে গেল ঘোড়া....বিয়ে বাড়ীতে হইচই কান্ড...!
রাজস্থান আজমের: ঘটনাটি রাজস্থানের আজমেরের রামপুরা গ্রামের। বর্তমানে শব্দবাজি একটি আতঙ্কের নাম। এই বাজির শব্দে সবথেকে বেশি সমস্যা তৈরি হয় শিশু ও বয়স্কদের। সঙ্গে পরিবেশ দুষণ তো রয়েছেই। তবে সমস্যা যে শুধু মানুষের হয় তা কিন্তু নয়। পশুপাখিরাও এই বাজির শব্দে ভীষণ ভয় পায়। সে জঙ্গলের হাতি বা বাঘ কিংবা ঘরের পোষা কুকুর বা বেড়াল, সকলের কাছেই শব্দবাজি (Firecrackers) আতঙ্কের নাম। বাজি পটকার শব্দ পেলেই যে কোনো ভাবেই হোক না কেন, সেই মূহূর্তে তারা উক্ত এলাকা ছেড়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। সম্প্রতি রাজস্থানের (Rajasthan) আজমেরের এক বিয়েবাড়িতেও ঘটেছিল ঠিক এই রকমই একটি ঘটনা। শব্দবাজির আওয়াজে বিয়ে করতে আসা বরকে (Groom) পিঠে চাপিয়েই দৌড় লাগিয়েছিল ঘোড়া (Horse)। তারপর…
.................
বিয়েতে বর যাত্রীকে সঙ্গে নিয়ে ঘোড়ার পিঠে চেপে বর আসেন কনের বাড়ি, অবাঙালি দের এই রীতি বহু পুরনো। রাজস্থানের সেই অবাঙালি বিয়েবাড়িতেও সেই ভাবেই ঘোড়ার পিঠে চড়ে এসেছিলেন বর মহোদয়। ঘোড়ার পিঠে চেপেই তখন ব্যান্ডপার্টির বাজনার তালে তালে মহা আনন্দে এগিয়ে চলেছেন হবু শ্বশুর বাড়ির দিকে । ঘুণাক্ষরেও কিন্তু তিনি বুঝতে পারেননি যে একটুপরে তাঁর সঙ্গে কী ঘটতে চলেছে।
যথা সময়ে কনের বাড়িতে এসে পৌঁছায় বর বাবাজিবন। বাড়ীর সামনে ররযাত্রী আসার পর শুরু হয় আতসবাজি ফাটানো। ব্যস! এতেই ঘটে বিপত্তি। আতস বাজির শব্দে প্রথমে কিছুটা ভয় পেয়ে প্রথমে দু, এক-কদম পিছিয়ে যায় ঘোড়া। তারপর হঠাৎই একটু বামদিকে ঘুরে লাগায় একছুট। ঘোড়ার পিঠে তখনও বসে আছেন বর বাবাজিবন। কিন্তু তাতে ঘোড়ার কি আসে যায়। অগত্যা বরকে নিয়েই ছুট্ মারে সে।
এমন কাণ্ড দেখে উপস্থিত বিয়ে বাড়ির উপস্থিত লোকজন আচমকাই হতভম্ব হয়ে যান । এরপর তাঁরাও কয়েকজন মিলে ঘোড়ার পিছনে ছুটতে শুরু করেন। কিন্তু ঘোড়ার দৌড়ের সঙ্গে কী আর পেরে ওঠা সম্ভব! তাই যে তার মতো বাইক, গাড়ি নিয়ে ধাওয়া করে ছুটন্ত ঘোড়াটিকে। এদিকে কোনো উপায় না পেয়ে বরও বেশ কয়েকবার ঘোড়ার পিঠ থেকে ঝাঁপ দেওয়ার ব্যর্থ চেষ্টা করেন। শেষে চার কিলোমিটার রাস্তা ঘোড়ার পেছনে ওইভাবে ধাওয়া করার পর অবশেষে ঘোড়াটিকে পাকড়াও করা হয়। প্রাণ হাতে নিয়ে বেঁচে ফেরার পর অবশেষে ভালোয় ভালোয় শুভ বিবাহ সম্পন্ন হয় ।
👉👉 বরকে নিয়ে পালিয়ে ঘোড়া 🙂🙂 দেখুন ভিডিও।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন