পোস্টগুলি

মার্চ, ২০২১ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

ভোজ্য পত্র কি ? আসল ও নকল ভোজ্য পত্র চিনবেন কিভাবে ?

ছবি
যন্ত্র, মন্ত্র ও তন্ত্রের কথা আলোচনা করতে গেলে অবধারিত ভাবে প্রথমেই ভোজ্য পত্রের কথা এসে যাবে। আগের দিনের ঋষি মুনিরা যত রকম পাতায় লেখা লেখি করতেন, তার মধ্যে ভোজ পত্র হলো অন্যতম ও শ্রেষ্ঠ উপাদান। আপনি যদি তন্ত্রোক্ত বিষয়ে আগ্রহী হয়ে থাকেন, তাহলে অবশ্যই আপনার ভোজ পত্র সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান থাকা জরুরী। এবং সেই সঙ্গে ভোজ্য পত্রের আসল আর নকলের পার্থক্য বুঝতে হবে।  ভোজ্য পত্র আসলে কি?  ভোজ্য পত্র আসলে গাছের একটি পাতলা বাকল বা ছাল! সংস্কৃত শব্দে ভূর্জ, ইংরেজি তে বলা হয় হিমালয়ান বার্চ। এর বৈজ্ঞানিক নাম Betula Utilis ( বেটুলা ইউটিলিস)।  এইটি পশ্চিম হিমালয়ের পাদদেশে জন্মানো একধরনের বার্চ প্রজাতির গাছ। যার জন্ম ও বেড়ে ওঠা হিমালয়ের পাদদেশে, সমুদ্র পীষ্ঠ থেকে প্রায় 4,500 মিটার (14,800 ফুট) উচ্চতায়।  বহু শাখায় বিস্তৃত এই গাছ। এই গাছের উচ্চতা প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ মিটার পর্যন্ত লম্বা হয়। উত্তরা খন্ডের গঙ্গোত্রী যাওয়ার পথে, গঙ্গোত্রী থেকে প্রায় ১৪ কিলোমিটার আগে ভোজ বাসা নামে একটি স্থান আছে, যা ভোজ বৃক্ষের জন্য বিখ্যাত। এখানে ভোজ বৃক্ষের বিশাল বনাঞ্চল। আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে এখনো ভূর্জপত্র এ

স্বপ্ন দোষ ? কালসর্প দোষ ? বশীকরণ বা কর্মে সাফল্য চান? তাহলে জানুন ময়ুর পালকের কিছু অসামান্য গুনাগুন!

ছবি
আমাদের জীবনে বেঁচে থাকার জন্য তিনটি শর্ত গুরুত্বপূর্ণ। খাদ্য, বস্ত্র, ও বাসস্থান। বাসস্থান কেই আমরা প্রধানতঃ বাড়ি বা বাস্তু বলে থাকি। আপনার বাড়ি যদি বাস্তু শাস্ত্রের বিপরীত হয়, অর্থাৎ আপনার বাস্তু যদি দোষ যুক্ত হয়, তাহলে অবশ্যই যদি সম্ভব হয়, তাহলে শীঘ্রই আপনার বাস্তুকে দোষ মুক্ত করুন। এমন অনেক সময়ে দেখা গেছে যে, কোন বাড়িতে ভূল বশতঃ এমন কিছু বাস্তু দোষ রয়েছে, যে চাইলেও সেই দোষ থেকে মুক্ত হওয়া অত সহজ নয়। যেমন ধরুন, আপনি বাড়ি তৈরি করার সময়ে আপনি আপনার শৌচাগার ভূল বশতঃ ঈশান ( উত্তর - পূর্ব ) কোণে তৈরি করে ফেলেছেন! এটা কিন্তু খুব বড় একটা ভুল হয়ে গেছে। আপনি চাইলেও এখন আর এই ভুল শোধরাতে পারবেন না। তবে সমস্যা যখন তৈরী হয়, তার সমাধানও নিশ্চয়ই থাকে। তবে এই বিষয়ের ওপর পরে অন্য কোনো সময়ে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করবো। আপনার বাস্তু এই রকম দোষ যুক্ত হওয়ার কারণে, আপনার বাড়িতে প্রতিনিয়ত নেগেটিভ শক্তি তৈরী হয়। যার ফলে আপনার ব্যক্তিগত জীবনে আপনাকে প্রতিনিয়ত অনেক প্রতিকূলতার মুখে পড়তে হয়। এই নেগেটিভ শক্তি কে ব্যহত করতে, আর পজেটিভ শক্তির বৃদ্ধি ঘটাতে আমি বিগত বেশ কয়েকটি প্রতিবেদনে ক

বারো মুখী রুদ্রাক্ষের উপকারিতা ও ব্যবহার বিধি !

ছবি
রুদ্রাক্ষ সম্পর্কে আমরা অনেকেই কম বা বেশী জানি। রুদ্রাক্ষ কথার অর্থ রুদ্রের অক্ষ! অর্থাৎ ভগবান শিবের চোখ। পৌরাণিক কাহিনী অনুসারে রুদ্রাক্ষ ভগবান শিবের অত্যন্ত প্রিয় বস্তুর মধ্যে একটি। আমরা যদি ঈশ্বরের বিশ্বাসী হই। যদি ভগবান শিবকে আরাধ্য বলে মনে করি, তাহলে রুদ্রাক্ষর গুরুত্ব কিন্তু আমরা কোনভাবেই অস্বীকার করতে পারি না। আসলে রুদ্রাক্ষ স্বয়ং ভগবান শিবের প্রতিরূপ! ভগবান শিব সকল দেবতার আরাধ্য। তাই রুদ্রাক্ষ যদি সঠিক বিধি অনুযায়ী ধারণ করা যায়, তাহলে অবশ্যই ভগবান শিবের সঙ্গে অন্যান্য দেবতারও আশির্বাদ লাভ হবে।   মুল ভূখণ্ডে ১( এক থেকে একুশ) থেকে ২১ মুখী পর্যন্ত রুদ্রাক্ষ পাওয়া যায়। যার মধ্যে ১ থেকে ১২ মুখী পর্যন্ত রুদ্রাক্ষ সহজলভ্য। এবং ১৩ থেকে ২১ মুখী রুদ্রাক্ষ কিন্তু দুর্লভ এবং এর মূল্য হাতের নাগালের বাইরে। তবে ২ থেকে ৫ মুখী রুদ্রাক্ষ পর্যন্ত বাজারে পর্যাপ্ত পরিমাণে সহজেই পাওয়া যায়,এর মুল্য খুবই সাধারণ। আপনি হয়তো ভাবছেন কত মুখী রুদ্রাক্ষ ধারণ করা আপনার জন্য শুভ হবে? এক্ষেত্রে আমি বলবো, আপনি যেকোনো রুদ্রাক্ষ ধারণ করতে পারেন, তবে প্রতিটি রুদ্রাক্ষের মধ্যেই বিশেষ ভিন্ন ভিন্ন গুন আছে, যা

এক মুখী রুদ্রাক্ষের উপকারিতা ও ব্যবহার বিধি !

ছবি
রুদ্রাক্ষ সম্পর্কে আমরা অনেকেই কম বা বেশী জানি। রুদ্রাক্ষ কথার অর্থ রুদ্রের অক্ষ! অর্থাৎ ভগবান শিবের চোখ। পৌরাণিক কাহিনী অনুসারে রুদ্রাক্ষ ভগবান শিবের অত্যন্ত প্রিয় বস্তুর মধ্যে একটি। আমরা যদি ঈশ্বরের বিশ্বাসী হই। যদি ভগবান শিবকে আরাধ্য বলে মনে করি, তাহলে রুদ্রাক্ষর গুরুত্ব কিন্তু আমরা কোনভাবেই অস্বীকার করতে পারি না। আসলে রুদ্রাক্ষ স্বয়ং ভগবান শিবের প্রতিরূপ! ভগবান শিব সকল দেবতার আরাধ্য। তাই রুদ্রাক্ষ যদি সঠিক বিধি অনুযায়ী ধারণ করা যায়, তাহলে অবশ্যই ভগবান শিবের সঙ্গে অন্যান্য দেবতারও আশির্বাদ লাভ হবে।   মুল ভূখণ্ডে ১( এক থেকে একুশ) থেকে ২১ মুখী পর্যন্ত রুদ্রাক্ষ পাওয়া যায়। যার মধ্যে ১ থেকে ১২ মুখী পর্যন্ত রুদ্রাক্ষ সহজলভ্য। এবং ১৩ থেকে ২১ মুখী রুদ্রাক্ষ কিন্তু দুর্লভ এবং এর মূল্য হাতের নাগালের বাইরে। তবে ২ থেকে ৫ মুখী রুদ্রাক্ষ পর্যন্ত বাজারে পর্যাপ্ত পরিমাণে সহজেই পাওয়া যায়,এর মুল্য খুবই সাধারণ। আপনি হয়তো ভাবছেন কত মুখী রুদ্রাক্ষ ধারণ করা আপনার জন্য শুভ হবে? এক্ষেত্রে আমি বলবো, আপনি যেকোনো রুদ্রাক্ষ ধারণ করতে পারেন, তবে প্রতিটি রুদ্রাক্ষের মধ্যেই বিশেষ ভিন্ন ভিন্ন গুন আছে, যা

কুলে খাঁড়ার রস প্রতিদিন সকালে খালি পেটে খেলে ৩ মাসে শরীরের ৮০ শতাংশ সমস্যা কমে যাবে।

ছবি
বাংলায় একটি অতি পরিচিত, অবহেলায় বাংলার মাঠে ঘাটে, ধানের জমিতে আগাছা হিসাবে জন্মানো ও বেড়ে ওঠা এই জলজ  উদ্ভিদ। বাঙালির রান্না ঘরে যা কুলে খাঁড়া শাক নামে বহুল পরিচিত। কিন্তু এর ঔষধি গুণাগুণ বিশ্বজনীন ও সর্বাত্মক! ইন্দোনেশিয়া, চীন, মায়ানমার, ভারত, নেপাল, শ্রীলংকা, পাকিস্তান এবং গ্রীষ্মমণ্ডলীয় আফ্রিকা ও বাংলাদেশ সহ আমাদের ভারতেও এই শাক ব্যাপকভাবে বিস্ত‌ৃত ও সমাদৃত। এই শাক মোটামুটি সারা বছরই পাওয়া যায়, তবে বর্ষাকালে এর আধিক্য দেখা যায়। বাংলায় এর নাম কুলে খাঁড়া বা গোকুল কাঁটা, হিন্দি নাম 'তাল মাখনা'। ইংরেজিতে marsh barbel, (সংস্কৃতে কোকিলাক্ষ্য/ कोकिलाक्ष। এর বিজ্ঞান সম্মত নাম নাম- Hygrophila auriculata / হাইগ্রোফিলা অরিকুলটা। এইটি হচ্ছে আকান্থুস প্রজাতির একটি উদ্ভিদ। কুলেখাড়ার পাতা শিকড় ও বীজ রাসায়নিক উপাদানে ভরপুর। এতে আছে অ্যালকালয়েড্‌স, ফাইটোস্টেরোল ও সুগন্ধি তৈল পদার্থ। এছাড়া রয়েছে উৎসেচক ডাইয়াসটেজ ও লিপেজ। আয়ুর্বেদে এর বীজ, শিকড় এবং পঞ্চাঙ্গ অর্থাৎ ,পঞ্চা = পাঁচ এবং অঙ্গ = অংশ, অর্থাৎ মূল, ফুল, কাণ্ড, ফল এবং পাতা একসাথে পুড়িয়ে ছাই করা হয়, তারপর সেই ছাই ও

যন্ত্রম সাধনা রহস্য !

ছবি
যন্ত্র কথাটার সাথে আমরা সকলেই কমবেশি পরিচিত। আধুনিক সময়ে আমরা যন্ত্র বলতে শুধু মেশিন বুঝি। আমরা যন্ত্র বলতে এটাই বুঝি, যার দ্বারা কম সময়ে, কম পরিশ্রমে অধিক কাজ সুসম্পন্ন হয়। কিন্তু বৈদিক যুগের বিভিন্ন পুথি পুস্তিকার দ্বারা জানতে পারা যায় যে, বৈদিক যুগেও অর্থাৎ আর্য্য সভ্যতাতে যন্ত্রের প্রচলন ছিল।  যন্ত্রকে সংস্কৃত উচ্চারণে যন্ত্রম বলা হয়। বিভিন্ন গবেষণা দ্বারা জানতে পারা যায়, আদতে এই যন্ত্রম কোনো মেশিন নয়। তবে এর দ্বারা ব্যক্তির কাজ অবশ্যই তরান্বিত হয়। কিন্তু কি ভাবে? এই যন্ত্রম হলো যাগ, যোগ, যজ্ঞ পূজা ক্রিয়া আদির একটি বিশেষ উপকরণ। মহর্ষি বাল্মীকি রচিত রামায়ণও দৈত্য গুরু শুক্রাচার্য্য দ্বারা নির্মিত একটি যন্ত্রের উল্লেখ পাওয়া যায়। যার দ্বারা রাক্ষস রাজ রাবনের স্বর্ণ লঙ্কা একটি বিশেষ উপায়ে সুরক্ষিত ছিল। মহাভারতের মূল নায়ক ভগবান শ্রীকৃষ্ণের রাজধানী দ্বারকাও স্বয়ং সুদর্শন চক্র দ্বারা রক্ষিত ছিল। মনে রাখবেন এই সুদর্শন চক্র আদতে একটি যন্ত্রম।   পূরা কালে মূর্তি পূজার বিশেষ প্রচলন ছিল না। তাই তখন দেবতার স্বরূপ হিসেবে শুধু যন্ত্রমের সাধনা করা হতো। আর তখন মূর্তির বদলে এই যন্ত্রম