পোস্টগুলি

এপ্রিল, ২০২১ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

রাজায় রাজায় যুদ্ধ হয় উলু খাগড়ার প্রাণ যায়!

ছবি
  পশ্চিমবঙ্গের বামফ্রন্টের জমানায় একটা খুব কমন শব্দ ছিল! তাহলো আমরা-ওরা। হ্যাঁ বামফ্রন্ট সরকারের নেতা নেত্রীরা, নিজেদের সঙ্গে বিরোধী প্রসঙ্গ আলোচনায় আমরা ওরা উল্লেখ করতেন। এক্ষেত্রে ওরা বলতে বোঝায় বিরোধী দল। তৃণমূলের জমানাতেও কিন্তু এর কোন বিশেষ পরিবর্তন আমরা কিন্তু দেখতে পাই না। এখানে ওরা শব্দটি পরিবর্তিত হয়ে বহিরাগত হয়েছে। উদাহরণ স্বরূপ বলতে পারি, যেমন বাঙালি - অবাঙালি,জয় হিন্দ - জয় বাংলা। তেমনই মা দুর্গা হলো বাঙালি, অর্থাৎ আমাদের নিজের, আর ভগবান রাম হলো অবাঙালি, অর্থাৎ বহিরাগত! সুতরাং এখানে বহিরাগতদের কোনো চান্স নেই। তাই এখানে নাকি ভগবান রামের নাম করা গুরুতর অপরাধ! কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তার জাতীয় সঙ্গীতের দ্বারা সম্পূর্ণ ভারত বর্ষকে একসুত্রে গেঁথে রেখেছেন। সাহিত্য সম্রাট বম্কিম চন্দ্র চট্টোপাধ্যায় সম্পূর্ণ ভারত বর্ষ কে মাতৃ রূপে বন্দনা করে তার বন্দে মাতরম্ গীত রচনা করেছেন। স্বামী বিবেকানন্দ তার বাণীতে বলেছেন -                           মাঝের ব্যক্তি অন্ধ আম জনতার প্রতিক নীচজাতি, মুখ, দরিদ্র, অজ্ঞ, মুচি, মেথর তোমার রক্ত, তোমার ভাই ! হে বীর, সাহস অবলম্বন কর ; সদৰ্পে বল—আ

সঙ্কট মোচন হনুমানজীর কৃপায় থাকবে না আর অকাল মৃত্যু ভয় !

ছবি
কথায় বলে জন্ম, মৃত্যু, বিয়ে, এই তিন বিধাতা নিয়ে। বিধির বিধানে মৃত্যুই একমাত্র সত্য। আর এই সত্য সব সময় পীড়া দায়ক হয়। এখন প্রশ্ন হলো মৃত্যু কি ?  মৃত্যু হলো এমন এক চরম সত্য যা প্রত্যেকের জীবনেই আসবে। জন্ম নিলে মৃত্যু কে বরণ করতে হবেই। মৃত্যু সাধারণত আমাদের দুই রকমের হতে পারে।  ১ ( এক)  বার্ধক্য জনিত কারণে, যা স্বাভাবিক মৃত্যু। আর ২( দুই ) নির্দিষ্ট বার্ধক্যের আগেই আকষ্মিক মৃত্যু। এই আকষ্মিক মৃত্যুই হলো অকাল মৃত্যু! এই অকাল মৃত্যুর ফলে পরিবারের ওপর নেমে আসে চরম আঘাত, মৃতের পরিবার কে যা, আমৃত্যু কষ্ট দেয়।  এখন আপনার মনে প্রশ্ন উঠতে পারে, অকাল মৃত্যুর সঙ্গে আপনার কি সম্পর্ক? হয়তো নেই। কিন্তু হতে কতক্ষন! আমরা কেউই এমন কিছু কখোনোই প্রত্যাশিত করি না। এটা আমাদের কাছে কখনোই কাম্য নয়। কিন্তু তা সত্বেও অপ্রত্যাশিত ভাবে কখনো কখনো এমনটা ঘটে যায়। মৃত ব্যক্তির আত্মা কষ্ট পায় কিনা বলতে পারবো না। কিন্তু সেই মৃত ব্যক্তির পূত্র বা কন্যা, যেই থাকুক না কেন, তার গর্ভধারিনী মাতা আর জন্ম দাতা পিতা যে, তার জন্য সবচেয়ে বেশী কষ্ট পায়, এবং আজীবন কেঁদে চোখের জলে ভাসাবে এতে কোনো ভুল নেই। এখন আপনার মনে

দর্শকের বিপুল চাহিদায় আরও একবার ফিরে আসতে চলেছে টিভির পর্দায়, শ্রদ্ধেয় ড: রামানন্দ সাগরের কালজয়ী ও ঐতিহাসিক ধারাবাহিক রামায়ণ।

ছবি
  করোনা মহামারী আবার দেশে তার দ্বিতীয় পর্যায়ের ধংসাত্মক লীলা ইতিমধ্যেই দেখাতে শুরু করে দিয়েছে। এমত অবস্থায় আবার প্রবল ভাবে মানুষের মনে গত বছরের মতো লক ডাউনের প্রবল ভীতি জেগে উঠেছে।  গত বছরে লক ডাউনের সময় সরকারি চ্যানেল দুরদর্শন ( DD 1 ) এ রামানন্দ সাগরের রামায়ণের সম্প্রচার করা হয়।  সে সময় বিশ্বের সমস্ত রেকর্ড ভেঙে দর্শকের সংখ্যা বিচারে রামায়ণ প্রথম স্থান অধিকার করে। তবে পূর্বের (১৯৮৭ সাল, যখন প্রথম রামায়ণ শুরু হয়) মতোই এসময়ে অনেক বামপন্থী লিবারেল তথাকথিত সুশীল সমাজের বুদ্ধিজীবী গন রামায়ণ দেখানো নিয়ে অযথা বিরোধ ও বিতর্ক সৃষ্টি করে। দুরদর্শন তাতে বিন্দুমাত্র কর্ণপাত না করে দর্শকদের চাহিদার কথা মাথায় রেখে তাদের সিদ্ধান্তে অটল থাকে। ফলে নতুন প্রজন্মের কাছে ভগবান রাম ও রামায়ণ জানার জন্য আবারও একপ্রস্থ নতুন রাস্তা খুলে গেল।  ১৯৮৭ সালে যখন রামানন্দ সাগরের রামায়ণের প্রথম বার সম্প্রচার করা হয়, তখন সেসময় সম্প্রচারের প্রথম দিন থেকেই প্রতি রবিবার সকাল ৯টার সময়, সম্পূর্ণ দেশের প্রতিটা শহর ও গ্রামের প্রতিটা জনপথ শুনসান হয়ে যেত। যেন অঘোষিত কার্ফু! সেই সময়েও রামায়ণের টিআরপি ছিল

নতুন বছরে সফলতার জন্য কিছু বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ টোটকা !

ছবি
দেখতে দেখতে আমরা আরো একটা বছর অতিবাহিত করলাম। ভালো মন্দ মিশিয়ে কাটলো পুরো একটা বছর। তবে ভালোর থেকে মন্দটাই বেশি! এক কথায় যা সবার ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।  পুরানো কে বিদায় জানিয়ে আহ্বান করবো নতুন কে, এটাই তো রীতি। তা বলে পুরানো কে ভুলে গেলে চলবে না। দিন যায়, মাস যায়, বছর যায়, রয়ে যায় শুধু বিগত দিনের ফেলে আসা কিছু টুকরো স্মৃতি আর অভিজ্ঞতা। জীবনে সফল হতে গেলে পুরানো সেই স্মৃতির অভিজ্ঞতা কে সম্বল করেই এগিয়ে যেতে হবে এক নতুন সফল জীবনের খোঁজে। যা আগামী দিনে নিজের ভবিষ্যৎ কে উজ্জ্বল করে নিয়ে যাবে এক সফলতার সুউচ্চ শিখরে । তাই পুরানো স্মৃতি আর অভিজ্ঞতা নিয়েই বাংলা ১৪২৭  বর্ষের বিদায় জানিয়ে আমরা আহ্বান করবো বাংলার নব বর্ষ ১৪২৮  এর। কিন্তু এই নতুন বছর আমাদের জন্য কি অপেক্ষা করে আছে, ভালো না মন্দ? তবে যাই হোক, আমাদের সকলের সর্ব শক্তিমান ঈশ্বরের কাছে একটাই প্রার্থনা যে, নতুন বছরে আমাদের শরীর যেন সুস্থ, সবল থাকে ও যেন আমাদের কর্ম ক্ষমতা প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পায়। আর এই বছর যেন সব সময়েই আমাদের সকলের কাছে শুভ বার্তা বহনকারী হয়। যদিও আমরা কিন্তু কেউই জানিনা, এই নতুন বছর আমাদের জন্য কি আগাম বার্

রত্ন, যন্ত্রম ও মূল এই তিনটি দ্রব্যের মধ্যে কোনটি বেশি কার্যকারী? এবং তাদের গুণাগুণ কি?

ছবি
রত্ন, যন্ত্রম ও মূল এই তিনটি দ্রব্যের মধ্যে কোনটি বেশি কার্যকারী! প্রথমেই বলে দেওয়া ভালো এর উত্তর আমার সঠিক জানা নেই। তবে এই টুকু জানি যে, তিনটি বস্তু সম্পূর্ণ পৃথক হলেও এদের উদ্দেশ্য কিন্তু এক। আগে একটা সময় ছিলো, যখন জ্যোতিষীরা শুধু মাত্র রত্ন প্রেসক্রাইব করতেন। আবার অনেক সময়ে রত্নের বিকল্প হিসেবে গাছের মূল ধারণ করার পরামর্শ দিতেন। কিন্তু এখন এসব অতীত! কিন্তু কেন?                                       হীরে কারণ রত্ন  অনেক সময়ে সাধারণ মানুষের কাছে দুর্মূল্য হয়ে যায়। এই দুর্মূল্যের কারণে সাধারণ মানুষের কাছে রত্ন ধরা ছোঁয়ার বাইরে হয়ে যায়। এছাড়া ঠকে যাবারও একটা ভয় থাকে। যেমন ধরুন আপনার শুক্র খারাপ, আপনাকে জ্যোতিষী হীরা ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন। কিন্তু জ্যোতিষী বললেই তো আর হলো না, আপনার পকেটের কথাটাও তো আপনাকেই ভাবতে হবে নাকি। তখন জ্যোতিষী আপনাকে হীরের বিকল্প হিসেবে ভালো কোয়ালিটির জারকন ব্যবহারের পরামর্শ দিলেন।                                       জারকন আপনি জ্যোতিষী কে জানালেন যে, এই মাসে তা সম্ভব নয়। সামনের মাসে হয়তো হবে। তবে অবশ্য হীরের তুলনায় জারকনের দাম অনেকটাই কম, এ

নেগেটিভ শক্তি কে প্রতিহত করতে ঘরের বিশেষ জায়গায় রাখুন রঙিন মাছের অ্যাকোরিয়াম !

ছবি
প্রথমেই বলবো রঙিন মাছের অ্যাকোরিয়ামের কথা।  আমরা অনেকেই আছি, যাদের অনেক রকম সখ থাকে। তার মধ্যে একটা হলো বাড়িতে রঙিন মাছের অ্যাকোরিয়াম রাখা। কিন্তু জানেন কি, সত্যি এই মাছের অ্যাকোরিয়াম বাস্তু অনুযায়ী সৌভাগ্য বৃদ্ধির সহায়ক হয়ে উঠতে পারে। কিন্তু কিভাবে তা সম্ভব হবে? এবার সে বিষয়ের ওপরই আলোচনা রাখবো।  প্রথমেই আমরা যা চিন্তা করি, সেটা হলো অ্যাকোরিয়াম রাখবার সঠিক যায়গা। অ্যাকোরিয়াম সবসময় রাখতে হয় বৈঠক খানা ঘরে। ঐ ঘরের উত্তর পূর্ব কিংবা দক্ষিণ পূর্ব দিক হলো এটি রাখার প্রশস্ত ক্ষেত্র। শোবার ঘর, রান্না ঘর বা বাথরুমে কখনোই মাছের অ্যাকোরিয়াম রাখবেন না। অনেক সময় দেখা যায়, অ্যাকোরিয়ামে রাখা মাছ গুলো মারা গেছে। এতে মন খারাপ বা দুশ্চিন্তা করার কোনো কারণ নেই। বরং জানবেন যা হয়, তা ভালোর জন্যই হয়। হতে পারে, হয়তো এতে আপনার ভালো হলো। মনে রাখবেন মাছ নেগেটিভ শক্তি প্রতিহত করে অমঙ্গলকে দূর করে। আপনার বাড়িতে যে নেগেটিভ শক্তি জমে ছিল, মাছটি তাকে গ্রহণ করে মারা যায়। এর ফলে নিজের প্রাণের বিনিময়ে, আপনার দুর্ভাগ্য কে সাথে নিয়ে চলে যায়। এই বার আমি বলবো অ্যাকোরিয়ামে কোন কোন ধরনের মাছ রাখা আ